বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আড়াই মাস জেলে ঝুমন দাস, ফের জামিন নাকচ

  •    
  • ২৭ মে, ২০২১ ১৯:৪৪

আইনজীবী দেবাংশু শেখর দাশ বলেন, ‘এর আগে ১৬ মে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদনের শুনানি হয়। কিন্তু ওইদিন কোনো আদেশ দেয়নি আদালত। বৃহস্পতিবার জামিন আবেদন নাকচ করে দেন সুনামগঞ্জের জেলা জজ ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার।’

হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের সমালোচনা করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দি সুনামগঞ্জের শাল্লার ঝুমন দাস আপনের জামিন দেয়নি জেলা জজ আদালত।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝুমন দাশের আইনজীবী দেবাংশু শেখর দাশ।

তিনি জানান, এর আগে ১৬ মে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদনের শুনানি হয়। কিন্তু ওইদিন কোনো আদেশ দেয়নি আদালত। বৃহস্পতিবার জামিন আবেদন নাকচ করে দেন সুনামগঞ্জের জেলা জজ ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার।দেবাংশু দাস বলেন, ‘এখন ঝুমনের পরিবার উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবে। উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করবেন তারা।’এই আইনজীবী জানান, জজ আদালতে আসার আগে সুনামগঞ্জের নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন করা হয়েছিলে। সেখানেও আবেদন নাকচ হয়।১৬ মার্চ মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন শাল্লার নোয়াগাঁওয়ের যুবক ঝুমন দাস আপন। স্ট্যাটাসে তিনি মামুনুলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগ আনেন।

কয়েক হাজার মানুষ দা-লাঠিসহ মিছিল নিয়ে এসে ভাঙচুর করে ৮৭টি হিন্দু বাড়ি। ছবি: নিউজবাংলা

এরপর ওই স্ট্যাটাস নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করে হেফাজত ও মামুনুলের অনুসারীরা। তারা ঝুমনের স্ট্যাটাসকে ইসলামবিরোধী আখ্যা দিয়ে প্রচারণা চালায়। উত্তেজনা আঁচ করতে পেরে ওই রাতেই ঝুমনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন নোয়াগাঁও গ্রামবাসী।পরদিন ১৭ মার্চ সকালে কয়েক হাজার লোক সশস্ত্র মিছিল নিয়ে এসে ঝুমনের নোয়াগাঁওয়ে তাণ্ডব চালায়। তারা গ্রামের প্রায় ৯০টি হিন্দু বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।

আরও পড়ুন: ঝুমন কেন এখনও জেলেঝুমনকে আটকের পর প্রথমে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এরপর শাল্লা থানার এক উপপরিদর্শক বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় প্রায় আড়াই মাস ধরে কারাগারে আছেন ঝুমন।ঝুমন দাসের মা নিভা রানী দাস বলেন, ‘আদালতে একাধিকবার আবেদন করেও আমার ছেলের জামিন মিলছে না। এখন কি করবে বুঝতে পারছি না। আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’

আর আগে নিউজবাংলাকে তিনি বলেছিলেন, ‘আদালতে একাধিকবার আবেদন করেও আমার ছেলের জামিন হচ্ছে না। বড় বড় আসামিরা ছাড়া পেয়ে যায়। অথচ ফেসবুকে লেখার কারণে সে দুই মাস ধরে কারগারে আছে।’

ঝুমনের মা বলেন, ‘ছেলেকে গ্রেপ্তারের পর আমাদের ঘরসহ গ্রামের সকল বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হলো। আমার পুত্রবধূকে হেনস্তা করা হয়েছে। আর কী শাস্তি পাওয়ার বাকি আছে আমাদের?’

এই মামলায় ঝুমনের জামিন পাওয়া উচিত বলে মনে করেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সুনামগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী। তিনি ঝুমনের মুক্তি দাবি করে বলেন, জামিনের পর তার নিরপত্তার বিষয়টিও প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর