ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝালকাঠিতে খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ভেঙে গেছে কাঁঠালিয়ার বিষখালী নদীর বেড়িবাঁধ।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এবং পূর্ণিমার প্রভাবে দুই দিন আগে থেকেই বাড়তে থাকে বিষখালী নদীর পানি। বুধবার নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ ফুট বেশি উচ্চতায় ওঠে। সেদিনই ভেঙে যায় বেড়িবাঁধ।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ২ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার ওপরে উঠেছে।
নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে বাতাসের চাপ থাকায় প্রবল ঢেউয়ে ভেঙে যায় নদীর বাঁধ। বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়ে কাঁঠালিয়া উপজেলা পরিষদের অফিসপাড়া, আবাসিক এলাকা, হাসপাতাল, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয় আমেনা বেগম বলেন, ‘বিষখালী নদীর অবদা (বাঁধ) ভাইঙা পানি আইয়া ঘর তলাইয়া গেছে। ঘরে থাহা যায় না, গরু-বাচুর উপজেলায় নিয়া রাখছি। চুলায় রান্ধনের কায়দা নাই।’
স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক এনায়েত মোল্লা বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে ত্রাণ চাই না, এই বাঁধটির টেকসই উন্নয়ন চাই। যাতে বন্যার সময় আমাদের দুশ্চিন্তায় পড়তে না হয়।’
বিষখালী নদীপাড়ের বাসিন্দা আব্দুর রব খান বলেন, ‘ঝড়-বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলে আমরা খুবই আতঙ্কে থাকি। বিশেষ করে রাতে ছেলেমেয়ে নিয়ে বসে থাকি, কখন বাড়িঘর ভেঙে নদীতে চলে যায়।’
বাঁধটি দ্রুত মেরামতের আশ্বাস দিয়ে জেলা প্রশাসক জোহর আলী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি স্থায়ীভাবে নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কাজটি যাতে দ্রুত বাস্তবায়িত হয়, সে ব্যাপারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।