বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইয়াস: জোয়ারে ভেসে এলো ৬টি হরিণ

  •    
  • ২৭ মে, ২০২১ ১৪:৩৬

বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার ও বৃহস্পতিবার সুন্দরবনের কচিখালী অভয়ারণ্য ও দুবলার চর থেকে দুটি, শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের তাফালবাড়ি গ্রাম থেকে একটি ও রায়েন্দা ইউনিয়নের রাজেশ্বর গ্রাম থেকে একটি মৃত হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে।

বাগেরহাটে জোয়ারের পানিতে সুন্দরবন থেকে একে একে লোকালয়ে ভেসে এসেছে চারটি মৃত হরিণ। আর পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় লোকালয়ে পাওয়া গেছে জীবিত দুটি হরিণ।

বন বিভাগের আশঙ্কা, পানিতে ডুবে সুন্দরবনে আরও কিছু বন্য প্রাণী মারা গিয়ে থাকতে পারে।

বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার ও বৃহস্পতিবার সুন্দরবনের কচিখালী অভয়ারণ্য ও দুবলার চর থেকে দুটি, শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের তাফালবাড়ি গ্রাম থেকে একটি ও রায়েন্দা ইউনিয়নের রাজেশ্বর গ্রাম থেকে একটি মৃত হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে।

বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় ফুট পানি উঠে যায় সুন্দরবনে। সেই পানিতে ডুবেই হরিণগুলো মারা গেছে।

তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে চারটি মৃত ও দুটি জীবিত হরিণ আমরা উদ্ধার করেছি।’

এই বন কর্মকর্তা জানান, পানির তোড়ে ও ঝোড়ো হাওয়ায় পূর্ব সুন্দরবনের ১৯টি জেটি, ছয়টি জলযান (ট্রলার), দুটি গোলঘর, একটি ওয়াচ টাওয়ার, চারটি স্টাফ ব্যারাক ও একটি রেস্ট হাউস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উড়ে গেছে অন্তত ১০টি কার্যালয়ের টিনের চালা। ৯টি পুকুরে লবণপানি প্রবেশ করেছে।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, ‘সুন্দরবনে বন্য প্রাণীর একমাত্র সুপেয় পানির উৎস ছিল মিঠা পানির পুকুর। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে পশ্চিম সুন্দরবনের ৫৪টি সুপেয় পানির পুকুরের মধ্যে ৫৩টিতে নোনা পানি প্রবেশ করেছে। প্রবল বাতাসে ১১টি জেটি ভেঙে গেছে। জেটি থেকে উঠে অফিসে যাওয়ার প্রায় ৩০ মিটার মাটির রাস্তা জলোচ্ছ্বাসের পানিতে ধুয়ে গেছে। রাস্তাগুলো আবার করতে হবে।’

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম সুন্দরবনসংলগ্ন শিবসা, কপোতাক্ষ, চুনা, খোলপেটুয়া, মালঞ্চসহ সব নদীতে স্বাভাবিকের তুলনায় সাত থেকে আট ফুট পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির নিউজবাংলাকে জানান, করমজলের বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের দুটি কুমিরের শেড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো কুমিরের ক্ষতি হয়নি।

তিনি বলেন, ‘পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমরা বন্য প্রাণীগুলোকে নিরাপদ স্থানে নিয়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর