বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মানহীন খাবার দেয়ায় কোয়ারেন্টিন সেন্টারে বিক্ষোভ

  •    
  • ২৭ মে, ২০২১ ১১:২১

কোয়ারেন্টিনে থাকা যাত্রীরা অভিযোগ করেন, বুধবার দুপুরে যে মুরগির মাংস দেয়া হয়েছিল, তা খাওয়া যায়নি। রাতে ছিল পচে যাওয়া মাছ। খেতে না পেরে প্রতিবাদ করেছে সবাই। খাবারের প্যাকেট ছুড়ে দিয়েছে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের দিকে।

চুয়াডাঙ্গার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) কোয়ারেন্টিন সেন্টারে মানহীন খাবার সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। সেখানে কোয়ারেন্টিনে থাকা লোকজনকে বুধবার রাতের খাবারে ভাত-মাছ দেয়া হলে তারা মাছ থেকে পচা গন্ধ বের হওয়ায় বিক্ষোভ করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান চালিয়ে সেই খাবার সরবরাহকারী দোকান সিলগালা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোয়ারেন্টিনে থাকা বেশ কয়েকজন নিউজবাংলাকে জানান, এই সেন্টারে তিন বেলাই দেয়া হচ্ছিল মানহীন খাবার। পরিমাণও ছিল কম।

তারা অভিযোগ করেন, বুধবার দুপুরে যে মুরগির মাংস দেয়া হয়েছিল, তা খাওয়া যায়নি। রাতে ছিল পচে যাওয়া মাছ। খেতে না পেরে প্রতিবাদ করেছে সবাই। খাবারের প্যাকেট ছুড়ে দিয়েছে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের দিকে।

তারা আরও বলেন, অনলাইনে খাবার কেনার ব্যবস্থা নেই। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে এ বিষয়ে একাধিকবার মৌখিক অভিযোগ, অনুরোধ করা হলেও তাতে কাজ হয়নি। টাকা দিয়ে এমন অখাদ্য খেতে হচ্ছে বলে তারা ক্ষুব্ধ।

খবর পেয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ-সংক্রান্ত উপকমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুনিরা পারভীন ও পুলিশ কর্মকর্তারা বুধবার সেখানে যান। বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

কোয়ারেন্টিনে থাকা যাত্রীদের খাবারসহ সব ধরনের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) আমজাদ হোসেনের।

নিউজবাংলাকে তিনি জানান, মান যাচাই করে চুয়াডাঙ্গা শহরের তিনটি রেস্তোরাঁকে পর্যায়ক্রমে দেয়া হয়েছে খাবার সরবরাহের কাজ। তদারকিতে দুজন ম্যাজিস্ট্রেট থাকছেন। বড় বাজারের হোটেল আল আমিন, ভোজন বিলাস এবং মেহমান হোটেল থেকে যাচ্ছে তিন বেলার খাবার।

তিনি বলেন, গতরাতে ১০ থেকে ১২ জন যাত্রী মাছের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অন্যরা কোনো অভিযোগ করেননি। কোয়ারেন্টিনে থাকা বাংলাদেশিদের কাছ থেকে থাকা-খাওয়া বাবদ জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা জমা নেয়া হয়েছে। খাবার নিয়ে অভিযোগ ওঠায় এর আগে সরবরাহকারী হোটেল বদল করা হয়েছে।

আমজাদ জানান, অভিযোগ ওঠায় আবারও হোটেল বদল করা হয়েছে। কারণ, কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের দেখভালের বিষয়টির সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের ভাবমূর্তি জড়িত। বুধবার রাতের খাবার সরবরাহকারী মেহমান হোটেলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এরপর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে অভিযান চালিয়ে হোটেল মেহমান সিলগালা করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক হাবিবুর রহমান।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রকোপে বন্ধ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। এর মধ্যেও জরুরি চিকিৎসা নিতে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে স্থলপথে হাজার দেড়েক বাংলাদেশি ভারতে গিয়ে পড়েন বিপাকে। কারণ, সেখানেও চলছে লকডাউন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশেষ ব্যবস্থায় আটকে পড়া ওই বাংলাদেশি যাত্রীদের দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে। ১৭ মে থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনাসহ দেশের তিনটি স্থলসীমান্ত ও চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরতে শুরু করেন তারা। তবে শর্তমোতাবেক দেশে ফেরা সবাইকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে ১৪ দিন।

প্রত্যেক জেলা প্রশাসন এই কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি তদারকি করছে। সে অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরা প্রায় ৭০০ ব্যক্তি অবস্থান করছেন চুয়াডাঙ্গার চারটি সরকারি ভবন ও কয়েকটি আবাসিক হোটেলে।

এর মধ্যে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রয়েছেন ১১৪ জন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী থাকা-খাওয়ার সব খরচ বহন করতে হচ্ছে যাত্রীদেরই।

এ বিভাগের আরো খবর