রংপুরে একটি মোটর সাইক চুরির ঘটনা তদন্তে নেমে চোরাই চারটি মোটরসাইকেল উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। এসব ঘটনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার বিকেলে পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন এ কথা জানান।
তিনি জানান, গত ২৩ মে নগরীর পায়রা চত্বর এলাকা থেকে ব্যবসায়ী আরমান আলী খানের মোটরসাইকেল চুরি হয়। পরদিন সেটি উদ্ধারের পাশাপাশি তাজহাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শহিদুল ইসলাম শাহিন নামে একজনকে।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ওই মটরসাইকেলটি কিনেছেন মিঠাপুকুর উপজেলার হরিপুর এলাকার আনারুল ইসলাম। পরে আনারুলকে গ্রেপ্তার করে তার কাছ থেকে আরও তিনটি চোরাই মটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ১৩ মে নগরীর নবাবগঞ্জ বাজারের ইসমাইল স্টোর নামে একটি পাইকারি বিক্রেতার দোকান থেকে একদল চোর সিগারেট বিক্রির নগদ ১৮ লাখ টাকা ও ১২ লাখ টাকার সিগারেটের কার্টুন চুরি করে নিয়ে যায়।
ওই দোকান মালিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইমরান ও হোসেন নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৪০ কার্টুন সিগারেট ও সিগারেট বিক্রির ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। তবে দোকান থেকে ১৮ লাখ টাকা চুরি হয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
গত ২৫ মে রাতে নগরীর গুপ্তপাড়ায় আইন কলেজের সামনে এক রিক্সাচালককে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে তার রিকশা ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন দুদু মিয়া নামে একজন। ওই রিকশাচালকের চিৎকারে পুলিশের ভ্রাম্যমাণ দল দুদু মিয়াকে ধাওয়া করে আটক করে।
পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বলেন, ‘নগরীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কোতয়ালি থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১৩ জন আসামিসহ ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের প্রত্যেকের নামে নামে মামলা ছিল।’
রংপুর মেট্রপলিটন আমলী আদালত-৩ এর জিআরও (সাধারণ নিবন্ধক) হাফিজুর রহমান জানান, আসামিদের আদালতে তোলা হলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জাহাঙ্গীর আলম আট জনকে জামিন দেন। বাকিদেরকে কারাগারে পাঠান।