ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কিশোরীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এ অভিযোগ এনে ওই চেয়ারম্যান, তার ভাইসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ১৫ বছর বয়সী কিশোরীর বাবা।
বিষয়টি বুধবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ জেলা ও জজ আদালতের আইনজীবী মকবুল হোসেন।
আসামিদের মধ্যে আছেন উপজেলার ৯ নম্বর উচাখিলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম শফিক, তার বড় ভাই উচাখিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মঞ্জুরুল হক মঞ্জু এবং নিহত কিশোরীর মা।
আইনজীবী মকবুল হোসেন বলেন, গত রোববার কিশোরীর বাবা ময়মনসিংহের নারী ও শিশু আদালতে অভিযোগ দিলে বিচারক পরদিন সোমবার মামলাটি নথিভুক্ত করার জন্য ঈশ্বরগঞ্জ থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেন। কিশোরীর বাবা অভিযোগে বিবাদীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনেছেন এবং ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেছেন।
অভিযোগের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান শফিক কিশোরীর মায়ের মৌন সম্মতিতে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এতে কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। বিবাদীরা ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য কিশোরীকে কবিরাজি ওষুধ দিয়ে গর্ভপাতের চেষ্টা করেন।
এতে কিশোরী অসুস্থ হলে ৯ মে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নিতে বলেন। কিন্তু তাকে ঢাকা না নিয়ে বাড়িতে রাখা হয়। সেখানে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কিশোরী আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে ১১ মে তাকে ঢাকায় ন্যাশনাল নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরদিন রাত ২টার দিকে মারা যায় ওই কিশোরী।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল বলেন, ‘ওই মেয়েটি ব্রেইন স্ট্রোকে মারা গেছে। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আমি কিছুই জানি না। অভিযোগের কাগজটি পেলেই ব্যবস্থা নেব।’