বিশ্বে সব প্রাণীর হিতসুখ ও মঙ্গল প্রার্থনা আর করোনা মুক্তির প্রার্থনার মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাঙ্গামাটিতে পালিত হয়েছে বুদ্ধপূর্ণিমা।
বুধবার সকালে রাঙ্গামাটি রাজবন বিহার, যমচুগ বনাশ্রম বন ভাবনাকেন্দ্র, সুবলংয়ের শ্রাবস্তী বনবিহারসহ বিভিন্ন বিহারে পালিত হয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এই প্রধান ধর্মীয় উৎসব।
রাজবন বিহারের দেশনালয়ে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় সভায় পাঁচ মিনিট নীরবতায় পালন করে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি লাভ ও বিশ্বে শান্তি প্রার্থনা জানান পুণ্যার্থীরা।
এ সময় বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান (বৌদ্ধ ভিক্ষুগণের নিত্যব্যবহার্য আটটি উপকরণ) হাজার বাতি দান, পিণ্ডদানসহ নানাবিধ পুণ্যযজ্ঞ করা হয়।
পুণ্যার্থীদের ভক্তি-শ্রদ্ধায় মহামানব গৌতম বুদ্ধের প্রতিবিম্বে ও বনভান্তের অস্থায়ী বেদীতে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদনের মাধ্যমে স্মরণ করা হয় বৌদ্ধদের মহাসাধক বনভান্তেকে।
এ সময় ধর্মীয় পুণ্যানুষ্ঠানে পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন উপাসক-উপাসিকা কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য জ্যোতি বিকাশ খীসা। স্বাগত বক্তব্য দেন উপাসক-উপাসিক কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ান। এ ছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বনবিহারের পৃষ্ঠপোষক ও সাবেক উপমন্ত্রী উপাসক মনি স্বপন দেওয়ান।
বনভান্তের অমৃতময় বাণীর উদ্ধৃতি দিয়ে পুণ্যার্থীদের মাঝে ধর্মদেশনা দেন রাজবন বিহারের শিষ্যসংঘের প্রধান ও রাজবন বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত প্রজ্ঞালংকার মহাথের। ধর্মদেশনা দেন রাজবন বিহারের সিনিয়র ভিক্ষু ভদন্ত জ্ঞানপ্রিয় মহাথের।
এই পূর্ণিমা দিনটি ভগবান বুদ্ধের ত্রিস্মৃতি বিজড়িত। এই পবিত্র তিথিতে ভগবান বুদ্ধ জন্মগ্রহণ, বোধি বা সিদ্ধিলাভ এবং মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন বলে তার ভক্তরা ধারণা করেন। বিশ্বের প্রধান তিনটি ধর্মের একটি এটি।