বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না: রাঙ্গা

  •    
  • ২৬ মে, ২০২১ ২৩:২২

রংপুর মোটর মালিক সমিতির কার্যালয়ে বুধবার এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মর্নিং এবং বিকেলে আমরা পারি না। মর্নিংয়ে অধিকাংশ লোকজন অফিসে যায় এবং তারা জোরজবরদস্তি করে উঠে যায়।’

করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে গণপরিবহনে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও জাতীয় পার্টির নেতা মসিউর রহমান রাঙ্গা।

রংপুর মোটর মালিক সমিতির কার্যালয়ে বুধবার এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মর্নিং এবং বিকেলে আমরা পারি না। মর্নিংয়ে অধিকাংশ লোকজন অফিসে যায় এবং তারা জোরজবরদস্তি করে উঠে যায়।’

সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, ‘আমাদের গাড়িতে তো একজন হেলপার একজন চালক থাকে। এরা কন্ট্রোল করতে পারে না। ২০ জন লোক থাকলে ধাক্কা দিয়ে উঠে যায়। সে জন্য আমরা বিআরটিএ, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্য দিতে সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি।’

মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘যাত্রীরা জোরজবরদস্তি করে বাসে উঠে যাচ্ছে। আমরা যাত্রী নামিয়ে দিতে পারি না। আমরা শ্রমিকদের বলেছিলাম, গাড়ি লক করে চালাতে, তারা চেষ্টা করছে। কিন্তু যাত্রীদের চাপে মাঝেমধ্যে সেটা হচ্ছে না।’

লকডাউনে গাড়ি বন্ধ করে দেয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে বলেছিলাম, যে কদিন গাড়ি বন্ধ ছিল এই সময়টা ট্যাক্স মওকুফ করতে হবে। গাড়ি চালাব না; কিন্তু সরকারকে ট্যাক্স দিব, এটা হয় না। হতে পারে না।’

সারা দেশে ১২ লাখ গাড়ির মালিক এবং তারা অনেক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন দাবি করে রাঙ্গা বলেন, ‘এ জন্য আমরা সরকারের কাছে ২৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা চেয়েছি। এর সঙ্গে দেড় কোটি শ্রমিকও জড়িত আছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকারকে আমরা বোঝাতে চেষ্টা করেছি শুধু পরিবহন বন্ধ রাখলে তো হবে না। বাজার খোলা আছে, গার্মেন্টস খোলা আছে, সবই খোলা আছে। শুধু পরিবহন বন্ধ করলে তো চলবে না।’

এ সময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘পরিবহন বন্ধ রেখে কি মানুষজনের চলাচল বন্ধ আছে? গ্রামে মানুষ ঠিকই গেছে, আবার শহরে ফিরছে। এই মানুষগুলো এক বাস থেকে অন্য বাস, এক গাড়ি থেকে অন্য গাড়ি করে পৌঁছেছে। বরং এতে করোনার বেশি ঝুঁকি।

‘আর লং রুটে গেলে তো একটা গাড়িতে যেতে পারবে। আমরা সে জন্য লং রুটে গাড়ি চলাচলের অনুমতির জন্য আবেদন করেছিলাম। সরকারের উচ্চ পর্যায় সেটি আমলে নিয়ে গাড়ি চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। গাড়ি বন্ধ নয়, মানুষের সচেতনতা বাড়াতে হবে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মনে করেন, পরিবহন বন্ধ থাকায় অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে। চুরি বাড়ছে, ছিনতাই বাড়ছে। কারণ, উপার্জন নেই, হাতে টাকা নেই, ঘরে খাবার নেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার কারণে করোনা মোকাবেলা সম্ভব হয়েছে এবং হচ্ছে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন রাঙ্গা।

এ বিভাগের আরো খবর