রাঙ্গামাটির লংগদুর লোকালয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া বন্য হাতিটি চিকিৎসা পেয়ে সুস্থ হয়েছে।
বুধবার সকালে হাতিটি গভীর বনে চলে গেছে। এর আগে গত রোববার সকালে অসুস্থ অবস্থায় বন্য হাতিটিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। গত সোমবার দুপুরের দিকে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে হাতিটিকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার উপজেলার ভাসান্ন্যা আদাম ইউনিয়নের খাগড়াছড়ি এলাকায় লোকালয়ে একদল বন্য হাতি আসে। রোববার সকালে অন্য হাতিরা চলে গেলেও লোকালয়ে একটি আমগাছের নিচে একটি হাতি রয়ে যায়।
গ্রামের লোকজন দেখতে পেয়ে সেখানে জড়ো হতে থাকেন। পরে বন বিভাগকে খবর দেয়া হলে সেখানকার লোকজন এসে হাতিটিকে পর্যবেক্ষণ করেন। একপর্যায়ে বন বিভাগের কর্মীরা নিশ্চিত হন, বন্য হাতিটি অসুস্থ। সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকেরা হাতিটির চিকিৎসা দেন।
চিকিৎসক দলের মধ্যে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের সমন্বয়ক অধ্যাপক বিবেক চন্দ্র সূত্রধর ও চকরিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন মো. মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন।
কাচালং স্টেশন কর্মকর্তা হাসান তারিক জানান, শনিবার খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পর্যাবেক্ষণ করেন। হাতিটি কিছুক্ষণ পরপর উঠে দাঁড়ায়, একটু পায়চারি করে আবার শুয়ে পড়ে। পায়ে আঘাতের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে হাতিটি। তার পাও ফুলে যায়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা অজিত রুদ্র জানান, হাতিটির সামনের ডান পায়ের হাঁটুতে, পিঠে ও বুকে তিনটি গুলির ক্ষত পাওয়া যায়। হাতিটির বয়স ২০ বছরের কাছাকাছি। হাতিকে প্রথমে অবশ করার জন্য দুবার ইকজেকশন পুশ করা হয়। অবশ হওয়ার পরে ক্ষতগুলোতে ড্রেসিং করে দেয়া হয়েছে।
পরে ব্যথানাশক ও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেয়া হয়। বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য অনুযায়ী, হাতিটি আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠবে।