ঢাকার ধামরাইয়ে সাবেক সেনা সদস্য নাজমুল ইসলাম পান্নুকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণার সাত বছর পর গ্রেপ্তার হয়েছেন এক আসামি। তার নাম আব্দুর রশিদ।
বুধবার বিকেলে ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ভোরে তাকে ধামরাইয়ের চৌহাট ইউনিয়নের চৌহাট গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ মামলার আরও দুই আসামি এখনও পলাতক।
আব্দুর রশিদ ধামরাইয়ের চৌহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি হত্যার পর ২০১২ সাল থেকে পলাতক ছিলেন। তাকে ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয় ২০১৪ সালে।
পুলিশ জানায়, ধামরাই উপজেলার চৌহাট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সহিংসতায় ২০১২ সালের ৬ মার্চ পান্নুকে খুন করা হয়।
তার স্ত্রী হাসু বেগম হয়ে ১৫জনের নামে ধামরাই থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ১৫ জনের নামে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
২০১৪ সালে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ আব্দুর রশিদকে ফাঁসি ও ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মোকছেদ, বিপ্লব, মনির, বিপ্লব, রাজন, আসাদ, ও গ্রামপুলিশ সিদ্দিকুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
বিপ্লব ও রাজন এখনও পলাতক।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান জানান, ‘ফাঁসি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া মোট তিন জন পলাতক ছিলেন। তাদের মধ্যে রশিদকে গ্রেপ্তার করে আজ বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’