নেত্রকোণার কলমাকান্দায় এক মাদ্রাসছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে মেয়েটির বাবা কলমাকান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন।
এতে বিল্লাল মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়।
পুলিশ রাতেই প্রধান আসামি বিল্লাল মিয়ার বাবাকে গ্রেপ্তার করে। তিনিও এই মামলার আসামী।
বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তার আসামীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম মাহমুদল হক জানান, সদর ইউনিয়নের ওই ছাত্রী মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে ঘর থেকে কিছুটা দূরে টয়লেটে যান। ফেরার সময় প্রতিবেশী বাসার বিল্লাল মিয়া নামের এক ব্যক্তি তাকে জোর করে তুলে নিজ ঘরে নিয়ে যান।
বিল্লাল পেশায় একটি কাঠ মিলে শ্রমিকের কাজ করেন। তার স্ত্রী প্রবাসী।
বিল্লাল ঘরের দরজা বন্ধ করে মেয়েটি ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের বিষয় কাউকে না জানাতে তিনি মেয়েটিকে বিভিন্ন রকম ভয়-ভীতি দেখান।
মেয়েটি বাড়িতে ফিরে তার পরিবারকে বিষয়টি জানিয়ে দেয়। পরে ছাত্রীর বাবা বিল্লালের পরিবারের কাছে ঘটনার বিচার চাইতে গেলে বিল্লালের বাবা, চাচাসহ আত্মীয় স্বজনরা তাকে মারধর করেন।
এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা ওই দিন রাতেই বিল্লালকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের নামে মামলা করেন। পরে পুলিশ বিল্লালের বাবাকে গ্রেপ্তার করে বুধবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
ওসি আরো বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রধান আসামি বিল্লালসহ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।