নাটোরের লালপুর এলাকা থেকে ‘ইমো হ্যাকার’ গ্রুপের ১৬ সদস্য গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫।
মঙ্গলবার রাজশাহীর নাটোর ক্যাম্পের র্যাব সদস্যরা লালপুর মোহরকয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে হ্যাকিংয়ে ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন জব্দ করে।
এ সময় পাপ্পু আলী, আজিম উদ্দিন, অন্তর আলী, স্বাধীন ও সজীব আলীকে গ্রেপ্তার করে।
পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নাটোরের লালপুরের মহরকয়া ভাঙ্গা পাড়া গ্রাম থেকে ফরিদ, রবিউল ইসলাম, মোহন, শাহপরান, আশিকুর, মাহিন, শাহাবুল, রুবেল, আলম, সিরাজুল ইসলাম ও নাজিম আলীকে আটক করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ট্যাবলেট কম্পিউটার, সিমকার্ড, মোবাইল ফোন, ফয়েল পেপার ও রাউটার জব্দ করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ডিভাইসের মাধ্যমে প্রবাসীদের ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করেছে।
মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের মধ্যে অধিকাংশই তাদের স্বজনদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমো অ্যাপে যোগাযোগ করে থাকেন। এই সুযোগে সংঘবব্ধ হ্যাকার চক্রের সদস্যরা প্রবাসীদের এই ইমো অ্যাপের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে স্বজনদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
ডিজিটাল প্লাটফর্মে ইউরোপ বা অন্যন্য দেশের তুলনায় মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীরা কম সচেতন হওয়ায় হ্যাকার পার্টির সদস্যরা তাদেরকেই মূল টার্গেট বানিয়ে প্রতারণা করে আসছিল।
র্যাব তদন্তে নেমে জানতে পারে, এই হ্যাকিং প্রক্রিয়া মূলত তিনটি ধাপে সম্পন্ন করে হ্যাকাররা।
প্রথম ধাপে হ্যাকাররা ইমো অ্যাকাউন্টধারীরের মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে, তারপর বিভিন্ন মেসেজ দিয়ে তাদের অ্যাকাউন্টের নানা সমস্যা তৈরি করে। এরপর ছদ্মবেশে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে গোপনীয় তথ্য জেনে নেয়।
দ্বিতীয় ধাপে মোবাইলে ওটিপি পাঠায়। কোড জেনে নিয়ে ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ক্লোন করে।
এরপর ওই প্রবাসীর দেশে থাকা স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে জরুরি ভিত্তিতে টাকা পাঠানোর কথা বলে বিকাশ নম্বরে টাকা নেয়। প্রবাসীরা দেশের বাইরে থাকায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন না।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।