ঢাকার ধামরাইয়ে ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে মোবাইল দেখার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে তার আপন চাচাতো ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার বিকেল ৪টার দিকে নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার ওই যুবককে বেলা ৩টার দিকে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে উপস্থিত করা হয়। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে থানায় অভিযোগ করে ওই শিশুর বাবা। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলার বিকেলে সোমভাগ ইউনিয়ন থেকে ওই যুবককে আটক করে পুলিশ।
রাতে শিশুর বাবার করা মামলায় ওই যুবককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ওই শিশুর পরিবারের অভিযোগ, আট-নয় মাস আগেও ওই যুবক তাদের মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তবে মানসম্মানের কথা চিন্তা করে বিষয়টি গোপন রাখেন তারা।
শিশুটির বাবা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে। বড়ডা ওর নানীর বাইত্তে থাইকা মাদ্রাসায় পড়ে। ছয় বছরের ছোড মাইয়ারে নিয়া আমি আর ওয়াইফে (স্ত্রী) থাকি। আমি চালাই গাড়ি। সকালে উইঠা যাইগা। আমার ওয়াইফে চাকরি করে, উও সকালে যায়গা। ১৯ তারিখ (১৯ মে) বিকাল ৪টার পর ছুটি হইলে উও বাইত্তে আইসা পড়ছে। তখন আইসা দেখে মেয়ে খালি কানতাছে, আর কেমন জানি শইল্লে (শরীরে) জ্বর আইসা পড়ছে। ২১ তারিখ (২১ মে) মেডিক্যালে (মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল) নিয়া যাওয়ার পরে ডাক্তাররা চেকআপ কইরা মাইয়ার রেপের (ধর্ষণ) কথা জানাইছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে আমার মাইয়া কইছে, আমার আপন ভাতিজা মোবাইল দেখার কথা বইলা তারে ঘরে নিছে। কয়েক মাস আগেও একবার সে ধর্ষণের চেষ্টা করছে। খালি একমাত্র আমার ওয়াইফ, আমি আর আমার মায়ে জানি। সম্মানের দিকে চাইয়া কিছু কই নাই, হ্যারে মাফ কইরা দিছিলাম।’
এদিকে, বিকেলে ওই শিশুর বাড়িতে আগুন লাগে। এতে তাদের একটি টিনশেডের ঘর পুড়ে যায়।
ওসি আতিকুল জানান, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হতে পারে। কীভাবে ঘরে আগুন লেগেছে, কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা এখনও জানা যায়নি।