বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অজ্ঞাত মরদেহের পরিচয় উদ্ধার: আটক এক কিশোর

  •    
  • ২৬ মে, ২০২১ ২০:০৮

গত ২১মে লামার ফাইতং ইউনিয়নের অলিকাটা এলাকার একটি পাহাড়ের ঢালে সাবেক মেম্বার আবুর লেবুর বাগানের পাশ থেকে একটি অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

বান্দরবানের লামায় একটি পাহাড়ের ঢাল থেকে উদ্ধার অজ্ঞাতপরিচয়ের একটি অর্ধগলিত মরদেহের পরিচয় পেয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বাকলিয়া থানা এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ওই কিশোরকে আটক করা হয়। বুধবার দুপুরে নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১৫-এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী।

আটক কিশোরের বাড়ি কক্সবাজার জেলার চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নে।

এএসপি সাদী বলেন, ‘গত ২১মে লামার ফাইতং ইউনিয়নের অলিকাটা এলাকার একটি পাহাড়ের ঢালে সাবেক মেম্বার আবুর লেবুর বাগানের পাশ থেকে একটি অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

‘পরে অজ্ঞাতপরিচয় ওই মরদেহটির পরিচয় উদ্ধার করা হয়েছে। ওই কিশোরের নাম মুবিন। তার বাড়ি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বড়ইতলীতে।’

হত্যাকাণ্ডের তদন্তের ভার র‌্যাবকে দেয়া হলে তাদের একটি দল হত্যাকাণ্ডটিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। তদন্তের সময় জানা যায়, এর আগেও এমন অনেক ঘটনা ঘটছে, যেখানে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে হত্যাকাণ্ড ঘটায়। সেই সূত্র ধরেই হত্যার ছয় দিন পর এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত এক কিশোরকে আটক করা হয় বলে জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

এএসপি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটক কিশোর জানায়, কক্সবাজার জেলার চকরিয়ার নোনাছড়ি এলাকার আব্দুল্লাহ কায়সার ও আব্দুর রহিমের সহায়তায় সে মুবিনকে হত্যা করে তার মোটরসাইকেল ছিনতাই করার জন্য।

র‍্যাব কর্মকর্তা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী জানান, গত ১৮ মে মাগরিবের নামাজের পর আটক কিশোর, কায়সার ও আব্দুর রহিম নোনাছড়ি গ্রামে কায়সারের বোনের চায়ের দোকানে মুবিনকে হত্যা করে তার মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। এই কাজের জন্য কায়সার তার বোনের দোকান থেকে একটি চাকু নেয়।

সেদিনই রাত ৯টার দিকে মুবিনকে তার ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল নিয়ে ফাইতং এলাকার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য নোনাছড়ি সুইচ গেটে আসতে বলে ওই কিশোর। মুবিন আসলে ওই কিশোর, কায়সার ও আব্দুর রহিম মুবিনের মোটোরসাইকেলে করে ফাইতং যাওয়ার জন্য বড়ইতলী থেকে চিউবতলী রাস্তার অলিকাটায় পৌঁছায়। তখন আব্দুর রহিম মুবিনকে মোটরসাইকেল থামাতে বলেন।

মুবিন মোটরসাইকেল থামালে ওই তিনজন তাকে মোটরসাইকেল থেকে টেনেহিচড়ে গলায় চেপে ধরে রাস্তার পাশে মাটিতে ফেলে এবং চাকু দিয়ে তার গলায় পোচ দেয়। মুবিনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমও করে তারা।

পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে কাছের একটি পাহাড় থেকে মুবিনকে ফেলে দেন তারা।

আটক ওই কিশোরকে বান্দরবানের লামা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

পলাতক আব্দুল্লাহ কায়সার ও আব্দুর রহিমকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর