বান্দরবানের লামায় এক নারী ও তার দুই মেয়ে নিহতের ঘটনায় উত্তম কুমার বড়ুয়া নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উপজেলার চম্পাতলী এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে তাকে আটক করা হলেও পুলিশ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায় বুধবার দুপুরে।
গ্রেপ্তার উত্তমের বাড়ি চম্পাতলী এলাকায়ই।
বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি-লামা সার্কেল) রেজুয়ানুল ইসলাম জানান, লামার ওই নারী ও তার দুই মেয়ের হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে উত্তমকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেও অনেক প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, নিহত নারীর মায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে উত্তমকে আদালতে উপস্থিত এবং তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়।
রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে আরও অনেক তথ্য জানা যাবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এএসপি রেজুয়ানুল বলেন, ‘উত্তমের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে এখন সব বলা যাচ্ছে না। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিস্তারিত জানা যাবে।’
এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় লামা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের চম্পাতলী এলাকার কুয়েতপ্রবাসী নুর মোহাম্মদের বাড়ির তালা ভেঙে তার স্ত্রী মাজেদা বেগম ও দুই মেয়ে রাফি ও নুরির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই দিন রাত সাড়ে ৩টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাজেদা বেগমের বড় বোন রাহেলা বেগম, ভাসুর আব্দুল রশিদ, দেবর আব্দুল খালেক, শাহ আলম ও মসজিদের ইমাম মো. শাহেদকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার রাতে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
রোববার সকালে মাজেদার মা লালমতি বেগম অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জেরিন আখতার বলেন, ‘পারিবারিক কোনো কারণে এই হত্যা হয়ে থাকতে পারে। আমরা তদন্ত করছি। শিগগিরই এই হত্যার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।’