বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দিনমজুরের বিদ্যুৎ বিল ৭৮৪৩০ টাকা

  •    
  • ২৬ মে, ২০২১ ১৪:৫১

চলতি বছরের মার্চ মাসে বিদ্যুৎ বিল পেয়ে হতবাক হন রুমা আক্তার। বিল এসেছে ৭৮ হাজার ৪৩০ টাকা। লেখার ভুলে এমন হয়েছে মনে করে যোগাযোগ করেন বিদ্যুৎ অফিসে। কিন্তু সেখানে সমাধান নয়, বরং হয়রানির শিকার হতে হয়। বিলের পুরো টাকাই পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হয় তাকে।

দিনমজুরের ঘরে আছে একটি বৈদ্যুতিক ফ্যান ও একটি বাল্ব। মাসিক বিদ্যুৎ ব্যবহার এক শ থেকে দেড় শ টাকার। সেভাবেই বিল পরিশোধ করছেন পাঁচ বছর ধরে। কিন্তু গত মার্চ মাসে তার বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৭৮ হাজার ৪৩০ টাকা।

অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিলের এ ঘটনার ‘দায় নিতে’ রাজি নয় চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। তারা কিস্তিতে হলেও গ্রাহককে বকেয়া বিল পরিশোধ করার জন্য তাগাদা দিচ্ছে। ‘শর্ট সার্কিট’ থেকে বিদ্যুতের এমন খরচ হয়েছে বলে দাবি করেছেন পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নে ঘটেছে এ ভৌতিক বিলের ঘটনা। সেখানে সাহেবগঞ্জ গ্রামের বেপারী বাড়ির গৃহবধূ রুমা আক্তার। তার নামের বৈদ্যুতিক মিটারে (হিসাব নং ০৩-৫৩৬-১১৭৮) আকস্মিক বিল এসেছে ৭৮ হাজার ৪৩০ টাকা। তিনি চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-০২ ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসের গ্রাহক। রুমা আক্তার পাঁচ বছর যাবৎ বৈদ্যুতিক মিটারটি ব্যবহার করলেও এমন ঘটনা প্রথম।

রুমার ঘরে একটি ফ্যান ও একটি লাইট ব্যবহার হয়। সেখানে মাঝে মাঝে মোবাইল চার্জ করা হয়। প্রতি মাসে তার বিল আসছিল এক শ থেকে দেড় শ টাকার মধ্যে। যা তিনি নিয়মিত পরিশোধ করে আসছেন।

চলতি বছরের মার্চ মাসে বিদ্যুৎ বিল পেয়ে হতবাক হন রুমা আক্তার। বিল এসেছে ৭৮ হাজার ৪৩০ টাকা। লেখার ভুলে এমন হয়েছে মনে করে যোগাযোগ করেন বিদ্যুৎ অফিসে। কিন্তু সেখানে সমাধান নয়, বরং হয়রানির শিকার হতে হয়। বিলের পুরো টাকাই পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হয় তাকে।

রুমা আক্তার বলেন, ‘আমি অনেক কষ্টে বিদ্যুতের লাইন আনছি। স্বামী দিনমজুর। আমরা পাঁচ বছর ধইরা মিটার ব্যবহার করছি। একটা ফ্যান, আর লাইট চলে। প্রতিমাসে আমাগো কারেন্ট বিল আইতো এক শ টেহা তনে দেড় শ টেহা পইযন্ত। কিন্তু মার্চ মাসে এতো টেহা বিল আইছে ক্যামনে জানি না।’

পল্লী বিদ্যুতের অফিসে গেলে কর্মকর্তারা খারাপ ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ রুমা আক্তারের। তিনি বলেন, ‘হেতারা আমগোরে বিল দিতাম কই অফিসেত্তে নামাই দিছে। আমি সরকারের কাছে বিচার চাই।’

এ ব্যাপারে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-০২-এর ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসে কর্মরত ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মুহাম্মদ নূরুল হোসাইন বলেন, ‘বিল আসার পর আমরা তার বাড়িতে গিয়ে তদন্ত করে দেখেছি। মূলত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে বিদ্যুতের ইউনিট খরচ হয়েছে, যা তার মিটারের আওতায়। যে বিল এসেছে তা এক সাথে পরিশোধ করা সম্ভব নয় বলে তাকে কিস্তির মাধ্যমে বিল পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছি।’

রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইসকান্দর মিয়া বলেন, ‘দিনমজুরের ঘরে এক মাসের বিদ্যুৎ বিল ৭৮ হাজার টাকা হতেই পারে না। কয়েক মাসের বিদ্যুৎ বিলের কপি দেখলেই তো বোঝা যায়, এটা অস্বাভাবিক বিল। এই ঘটনার সমাধান বিদ্যুৎ বিভাগকেই দিতে হবে। তারা কিস্তিতে বিল পরিশোধ করার কথা বলতে পারে না।’

এ বিভাগের আরো খবর