বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাওরে হবে বজ্রনিরোধক আশ্রয়কেন্দ্র

  •    
  • ২৬ মে, ২০২১ ১৪:২১

ইউএনও এএইচএম আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘৯০০ বর্গফুটের এই আশ্রয়কেন্দ্রটির চারদিকে ২০০ মিটার বজ্রনিরোধকের আওতায় থাকবে। আকাশে মেঘ দেখলে হাওরে কর্মরত মানুষজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারবেন। উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়ের মাধ্যমে করানো এই আশ্রয়কেন্দ্রটি আগামী ২০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে।’

নেত্রকোণার খালিয়াজুরীর হেমনগর হাওরে মডেল হিসেবে স্থাপিত হচ্ছে বজ্রনিরোধক আশ্রয়কেন্দ্র। এটি বাস্তবায়িত হলে হাওরের জমিতে কাজ করা কৃষক, হাওরে মাছ ধরতে আসা লোকজন আশ্রয় নিয়ে বজ্রপাত থেকে বাঁচতে পারবেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক কাজী মো. আব্দুর রহমান।

তিনি জানান, বর্ষায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটলে আশ্রয় নেয়ার পাশাপাশি হাওরের সৌন্দর্য অবলোকন করতে পারবেন পর্যটকরা।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘হেমনগরের কেন্দ্রটিকে মডেল ধরে হাওরাঞ্চলসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বজ্রনিরোধক আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।’

গত ১৫ দিনে নেত্রকোণায় বজ্রপাতে ১২ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এর মধ্যে খালিয়াজুরী উপজেলাতেই মারা গেছেন ৫ জন আর আহত হয়েছেন ৪ জন।

নেত্রকোণা জেলা জন-উদ্যোগের ফেলো শ্যামলেন্দু পাল বলেন, ‘জেলায় বজ্রবৃষ্টির সময় খোলা জায়গায় কাজে থাকা কৃষক, জেলে মারা যাচ্ছেন বেশি। বিশেষ করে হাওরাঞ্চলের কৃষিজমি, জলাশয়গুলো থেকে বাড়িঘর অনেক দূরে। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে সেখানে কর্মরত লোকজন আশ্রয় নিতে পারেন না।’

তিনি বলেন, ‘এসব মৃত্যু ঠেকাতে হাওরাঞ্চলে বজ্রনিরোধক আশ্রয়কেন্দ্র করতে আমরা বিভিন্ন সময় প্রশাসনকে বলেছি। প্রশাসন উদ্যোগ নিয়েছে। এতে অনেক মানুষের প্রাণ বাঁচবে। তবে দ্রুত আরও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের দাবি জানাই।’

খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচএম আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘৯০০ বর্গফুটের এই আশ্রয়কেন্দ্রটির চারদিকে ২০০ মিটার বজ্রনিরোধকের আওতায় থাকবে। আকাশে মেঘ দেখলে হাওরে কর্মরত মানুষজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারবেন। উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়ের মাধ্যমে করানো এই আশ্রয়কেন্দ্রটি আগামী ২০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে।’

ইউএনও বলেন, ‘হেমনগর হাওরে মাছ ধরতে স্থানীয়রা ছাড়াও পাশের জেলা কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ থেকে লোকজন আসে। কৃষকরাও মাঠে কাজ করেন। কিন্তু বৃষ্টিপাত শুরু হলে আশপাশে আশ্রয় নেয়ার কোনো সুবিধা নেই। এই বিবেচনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেখানে আশ্রয়কেন্দ্রটি স্থাপন করা হচ্ছে।’

জেলা প্রশাসক কাজী আব্দুর রহমান বলেন, ‘হাওরটিতে জনসমাগম বেশি। তাই প্রথমেই সেখানে আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। এই কেন্দ্রটিকে মডেল হিসেবে ধরে উপজেলায় দ্রুত আরও দুইটি আশ্রয়কেন্দ্র এবং মদন উপজেলার হাওরেও আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।’

জেলা প্রশাসক বলেন, হাওরে এসব আশ্রয়কেন্দ্র বহুমুখী কাজে আসবে। বর্ষায় রাতে দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে। নৌকাডুবির ঘটনা হলে সাঁতরে মানুষজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারবে। এ ছাড়া হাওরের জলরাশি, আফাল (তীব্র ঢেউ) অবলোকনে পর্যটকদের জন্যে এসব আশ্রয়কেন্দ্র ওয়াচ টাওয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

এ বিভাগের আরো খবর