চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) পরিচয়ে এক ব্যক্তি বেকারি মালিকদের জরিমানা করার ভয় দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জরিমানা এড়াতে চাইলে বিকাশে তার কাছে টাকা পাঠাতে বলা হচ্ছে।
ইউএনও পুলক কুমার মণ্ডল জানান, তার পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারক চক্র এ কাজ করছে বলে জানতে পেরেছেন। পুলিশকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ভুয়া ইউএনওর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে বুধবার দুপুরে থানায় গিয়েছেন দুটি বেকারির মালিক। এর মধ্যে মডার্ন বেকারির মালিক ফিরোজ রহমান মিলন লিখিত অভিযোগও করেছেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর জানান, অভিযোগে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে আলমডাঙ্গা পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর দিনেশ কুমারের মোবাইল ফোনে কল দেন ইউএনও পরিচয়দানকারী এক ব্যক্তি।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে জানিয়ে তিনি ওয়ার্ডের বেকারি মালিকদের মোবাইল ফোনের নম্বর জানতে চান। দিনেশ তখন মডার্ন বেকারির মালিক ফিরোজের নম্বর দেন।
এরপর ওই ব্যক্তি পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইলিয়াছ হোসেনের কাছে ফোন দিয়ে ওই ওয়ার্ডের বেকারি মালিকের নম্বর চান। ইলিয়াস তাকে মনি ফুডের মালিক মনিরুজ্জামান মনির ফোন নম্বর দেন।
মডার্ন বেকারির মালিক ফিরোজ জানান, ওই ব্যক্তি তাকে ফোন করে বলেন, “আমি আলমডাঙ্গা থানার ইউএনও। ঢাকা থেকে মেসেজ এসেছে। আলমডাঙ্গার সব বেকারিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করতে বলা হয়েছে। আমরা ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করছি।”
ওই ব্যক্তি আরও বলেন, “আপনি চাইলে কিছু কম টাকা দিয়ে আপনার নাম কাটিয়ে নিতে পারেন। আমার নম্বরে ৮ হাজার ২০০ টাকা বিকাশ করে দেন।”
ইউএনও কার্যালয়ে গিয়ে টাকা দিতে চাইলে ওই ব্যক্তি ফিরোজকে বলেন, এসব অফিসে আলোচনা করা যাবে না।
মনি ফুডের মালিক মনিরুজ্জামান মনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানার ভয় দেখিয়ে আমার কাছেও টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে তখনই ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলেও হুমকি দেন ইউএনও পরিচয়দানকারী। আমি সকাল পর্যন্ত সময় চাইলে ওই লোক এখনই অভিযান চালানো হবে বলে জানান।’
থানার ওসি আলমগীর কবীর বলেন, যেই নম্বরগুলো থেকে ফোন এসেছে, সেগুলো যাচাই করা হচ্ছে। ওই ব্যক্তিকে আটক করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।