ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পদ্মা নদী উত্তাল থাকায় মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ার দুই নম্বর ফেরিঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া ঘাটের মেরিন কর্মকর্তা আলী আহমেদ।
তিনি জানান, সকাল ১১টার দিকে প্রবল ঢেউয়ে ২ নম্বর পন্টুনটি ভেঙে গেছে। ঘাটের পাশেই অংশগুলোকে নোঙর করে রাখা হয়েছে। ওই ঘাটে থাকা ফেরিগুলো নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সরে গেছে চার নম্বর পন্টুনটিও।
ইয়াসের প্রভাবে দুর্ঘটনা এড়াতে মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে নৌরুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে বিআইডব্লিউটিএ।
এ আদেশের ফলে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ রুটে চলাচলকারী ৮৭টি লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিআইডাব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) ফয়সাল আহমেদ জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে নদীর উত্তাল থাকায় বুধবার সকাল থেকেও ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেন তারা। ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় পাঁচশ যানবাহন ও কয়েক হাজার যাত্রী।
বরিশালগামী এক যাত্রী ফখরুল ইসলাম জানান, জরুরি প্রয়োজনে বাড়িতে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল তার। সকালে শিমুলিয়া ঘাটে এসে দেখেন ফেরিসহ সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ। বাধ্য হয়ে তিনি ঢাকাতে ফিরে যাচ্ছেন।
ইয়াসের প্রভাব পরেছে পদ্মার মানিকগঞ্জ অংশেও। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে সীমিতভাবে চলছে ফেরি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশরের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, স্বাভাবিক সময়ে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ২০টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হয়। তবে ইয়াসের কারণে দূর্ঘটনা এড়াতে বুধবার সকাল থেকে ফেরির সংখ্যা কমানো শুরু হয়।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেন, পদ্মায় এখন প্রবল ঢেউ। যার ফলে ফেরি চলাচল করা ঝুঁকিতে পড়েছে। শুধুমাত্র জরুরি কাজের যানবাহন পারাপারের জন্য তিনটি বড় ফেরি চলাচল করছে।