ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে সারা দেশে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ করা হলেও বরিশালের কীর্তনখোলায় যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে ট্রলার ও স্পিডবোট।
পূর্ণিমার প্রভাবে এমনিতেই কীর্তনখোলায় জোয়ার। তার ওপর ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব। সব মিলিয়ে মঙ্গলবার থেকেই উত্তাল কীর্তনখোলা।
দুর্ঘটনা এড়াতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) মঙ্গলবার থেকেই নদীতে যাত্রী নিয়ে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু কীর্তনখোলায় সেই নিষেধাজ্ঞা মানছে না ট্রলার ও স্পিডবোটচালকরা।
বরিশাল নদীবন্দরসংলগ্ন খেয়াঘাট থেকে চরকাউয়ার দিকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলতে দেখা গেছে এসব নৌযান।
ঝুঁকি নিয়ে কেন তারা নদীতে নামছে, জানতে চাইলে ট্রলারচালক ইসমাইল বলেন, ‘আমাগো কেউ ট্রলার চালাইতে মানা করে নাই। তাই চালাইতেছি।’
আরেক ট্রলারচালক মাইদুল বলেন, ‘ট্রলার চালাইলে সমস্যা হয় না। কোনো ঝামেলা নাই।’
বরিশাল নৌ সদর থানার উপপরিদর্শক অলোক চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের নজরদারি রয়েছে। বিষয়টি খোঁজখবর নিচ্ছি।’
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হলেও বরিশাল বিভাগের ১৫টি উপজেলা বেশ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এসব উপজেলা নদীবেষ্টিত বা সাগরপারে হওয়ায় ইয়াসের আঘাতে এসব এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি রোধে বরিশালে ইতোমধ্যে পাঁচ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে ।
ইয়াসের প্রভাবে মঙ্গলবার সকাল থেকে বরিশালে হালকা ও দমকা হাওয়ার পাশাপাশি থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, যা কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে বরিশাল আবহাওয়া দপ্তর।