বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইয়াস: তীব্র বাতাসে জলোচ্ছ্বাসের ভয়

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৬ মে, ২০২১ ০২:০৪

খুলনার বাগেরহাটের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা সদরে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভোলার নদী ও সাগরের মোহনা।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকার আবহাওয়া বিক্ষুব্ধ হতে শুরু করেছে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বাতাসের তীব্রতা। সেই সঙ্গে জোয়ারের পানি বৃদ্ধিতে দেখা দিয়েছে জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা।

খুলনার বাগেরহাটের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা সদরে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভোলার নদী ও সাগরের মোহনা।

আবহাওয়া বৈরি হওয়া শুরু করলেও অবশ্য উপকূলের মানুষদের খুব একটা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে দেখা যায়নি। অনেক আশ্রয়কেন্দ্র ফাঁকা পড়ে আছে।

তবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকা বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। ভোলায় বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে কোস্ট গার্ড কাজও শুরু করেছে। কলাপাড়ায় প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।

বাগেরহাট: জেলাজুড়ে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সঙ্গে ক্রমাগত বাড়ছে বাতাসের তীব্রতা। এমন অবস্থায় জোয়ারের পানির অতি বৃদ্ধি আতঙ্ক ছড়িয়েছে জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, রামপাল ও মোংলা উপজেলার বাসিন্দাদের মনে।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য বলেন, রাত ৮টা থেকে নতুন করে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যেই নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। রাত ১২টার দিকে পানি বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি তীব্র বাতাস শুরু হয়েছে। এমন অবস্থায় দিক পরিবর্তন করে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলীয় এলাকার দিকে ধেঁয়ে আসলে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জেলার শরণখোলার বলেশ্বর, মোরেলগঞ্জের পানগুছি, মোংলার পশুর, বাগেরহাটের ভৈরব, দড়াটানাসহ সব নদীর পানি এরই মধ্যে স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে ৩ থেকে ৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে বাসিন্দাদের সতর্ক করে প্রশাসন

রাতে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুদার উপজেলার চিলা, কানাই নগর, সুন্দরতলা, কলাতলা ও জয়মনির বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে মাইকিং করে মানুষজনকে সতর্ক করেন।

তিনি বলেন, মোংলার পশুর নদের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট বেড়েছে। এটি পাঁচ থেকে ছয় ফুট বাড়লে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জলোচ্ছ্বাস নিয়ে ভয় থাকরেও জেলার অধিকাংশ এলাকার বাসিন্দাই আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি। অধিকাংশ আশ্রয় কেন্দ্রই ফাঁকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের বাসিন্দা মাহফুজুর রহমান বাপ্পি জানান, সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বলেশ্বর নদী সংলগ্ন কিছু গ্রামবাসী সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিলেও অধিকাংশ আশ্রয় কেন্দ্রে ফাঁকা রয়েছে।

ভোলা: জেলায় আবহাওয়া বৈরি হতে শুরু করেছে। থেমে থেমে ঝোড়োহাওয়া ও বৃষ্টি হচ্ছে। ঝড়ের প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র ও নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রভাবিত হচ্ছে।

এর মধ্যে জেলার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছে কোস্টগার্ড।

ঢালচর থেকে ট্রলারে করে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনে কোস্ট গার্ড

রাত ৯টার দিকে ঢালচর থেকে অর্ধশতাধিক মানুষকে কচ্চপিয়া ঘাটে আনা হয়। মাছ ধরার দুটি ট্রলারে তাদের নিয়ে আসা হয়।

কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান জানান, সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা সাগর উপকূলের বাসিন্দাদের সরিয়ে আনা হচ্ছে। এসব মানুষ রাতে আশ্রয়কেন্দ্র বা তাদের সুবিধা মতো স্থানে অবস্থান করবেন।

পটুয়াখালী: জেলার কলাপাড়া উপজেলা শহ‌রে জোয়ারের পা‌নি প্রবেশ ক‌রে‌ছে। রাত ১০টার দিকে বাঁধ উপচে পানি শহরে ঢুকে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, লালুয়া ইউনিয়নসহ উপজেলা সদরের ১৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় এসব এলাকার বাসিন্দাদের সাইক্লোন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা শহরে জোয়ারের পানি

উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হালিম সাহেলী জানান, উপজেলার পায়রা, আগুনমুখা, রাবনাবাদ ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর