গাজীপুরে এক কিশোর হত্যা মামলায় তার চার বন্ধুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গাজীপুর পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন মিয়া জানান, ২০২০ সালের ৩ আগস্ট সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ হয় মো. সোহান। ৬ আগস্ট তার মা নাজমা বেগম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
এরপর ৩১ আগস্ট গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি খালের ব্রিজ সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ময়লার স্তূপে একটি কঙ্কাল পাওয়া যায়। কঙ্কালের শার্ট, প্যান্ট ও স্যান্ডেল দেখে নাজমা বেগম এটি তার ছেলের বলে শনাক্ত করেন।
ওইদিনই তিনি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ প্রায় দুই মাস তদন্ত করে ওই কিশোরের চার বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু তদন্তের কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় মামলাটি পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করে। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ২৩ মে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।
কিশোরদের জবানবন্দি
পিবিআইয়ের দাবি, জবানবন্দিতে এক কিশোর জানিয়েছে তারা সোহানের বন্ধু। কিছুদিন আগে সে সোহানকে মারপিট করে। বিষয়টি সোহানের বাবা জানতে পেরে তাকে ময়মনসিংহ মহাসড়কের আইল্যান্ডের সঙ্গে বেঁধে জুতা ও লাঠি দিয়ে পেটায়।
আরেক কিশোরকে সোহানের বাবা ২০০ পিস ইয়াবাসহ পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়। তাকে তিন মাস জেল খাটতে হয়।
এসব কারণে তাদের সোহানের প্রতি ক্ষোভ জন্মায় ও হত্যার পরিকল্পনা করে। প্রথমে তারা বাঁশ দিয়ে সোহানের মাথায় আঘাত করে, তারপর বুকে চাকু চালায়। এরপর ময়লার স্তূপের মধ্যে তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়।