নোয়াখালীর হাতিয়ায় নিখোঁজের পরদিন স্কুলের পেছন থেকে এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার হরনী ইউনিয়নের দক্ষিণ আদর্শ গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের ঝোপ থেকে মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শাবনূর বেগম ওই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তার বাড়ি হরনী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ আদর্শ বাজারে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ শাবনূরের সৎমা খালেদা আক্তারকে আটক করেছে।
শাবনূরের বাবা আবুল কাশেম নিউজবাংলাকে জানান, ১২ বছর আগে সন্তান প্রসবের সময় তার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু হয়। প্রথম পক্ষে তার তিন মেয়ে ও এক ছেলে আছে। দ্বিতীয় স্ত্রী খালেদার ঘরে তিন ছেলেমেয়ে আছে।
সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত দোকানের কাজে সাহায্য করার পর তিনি মেয়েকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। কিন্তু দুপুরের দিকে বাড়ি ফিরে মেয়ের খোঁজ পাননি। মঙ্গলবার দুপুরে ঝোপের মধ্যে মেয়ের মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা তাকে খবর দেন।
কাশেমের অভিযোগ, তার দ্বিতীয় স্ত্রীই মেয়েকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছেন। তাদের বাড়ির একটি ঘরে তিনি কিছু রক্তের দাগ পেয়েছেন। ঘরের পাশেই দুটি লাঠি ছিল।
তিনি আরও জানান, পারিবারিক কলহের জেরে তার স্ত্রী তাকেও নির্যাতন করেছেন। এমনকি হত্যারও চেষ্টা করেছেন।
হাতিয়া মোর্শেদ বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন জানান, শাবনূরের মাথায়, মুখে, ঘাড়ে ও কানে আঘাতের চিহ্ন আছে। তার মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মামলা হলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।