ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে নোয়াখালীর হাতিয়ায় নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের চারটি গ্রাম পানিতে সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে।
উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হাতিয়ার চারপাশে নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নিঝুমদ্বীপে বেড়িবাঁধ না থাকায় অস্বাভাবিক জোয়ারে তলিয়ে গেছে চারটি গ্রাম।
নিঝুমদ্বীপ ইউপি সদস্য কেপায়েত উদ্দিন জানান, দ্বীপের মোল্লা, মদিনা, বান্দাখালী ও মুন্সি গ্রাম তিন থেকে চার ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
হঠাৎ প্লাবিত হওয়া এসব এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, গো খাদ্য। অনেক এলাকায় মানুষের কাঁচা ঘরবাড়িও ভেসে গেছে।
হাতিয়া উপজেলা ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) কর্মকর্তা বদিউজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাব এক হয়ে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাতের জোয়ারে পানি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা রয়েছে। ১৮১টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্গত মানুষদের দ্রুত শেল্টারে আনা হচ্ছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। দুর্গত মানুষের জন্য কাজ করতে স্বেচ্ছাসেবী টিম তৈরি আছে।