বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হত্যা মামলায় দম্পতি গ্রেপ্তার

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৫ মে, ২০২১ ১৮:৫৯

এসআই সবুজ আলী জানান, জাহাঙ্গীর কয়েকজনের সঙ্গে মিলে শাহজাহানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী শাহজাহানকে একটি বাড়িতে ডেকে নিয়ে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। এরপর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়া হয়। এ ঘটনার পর যুথী ও জাহাঙ্গীর ঢাকায় পালিয়ে যান।

পাবনায় মরদেহ উদ্ধারের দেড় মাস পর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী যুথী আক্তার। তাদের বাড়ি পাবনা শহরের শালগাড়ীয়া প্লাস্টিক মোড় এলাকায়।

ঢাকার আশুলিয়া থানার উত্তর গাজীর চট এলাকা থেকে সোমবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পিবিআই জানায়, গত ৩১ মার্চ সন্ধ্যা সাতটার দিকে শালগাড়ীয়া প্লাস্টিক মোড় এলাকার শাহজাহান আলী নিখোঁজ হন। ১ এপ্রিল তার পরিবারের লোকজন পাবনা সদর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

এরপর ৫ এপ্রিল দুপুরে আটঘরিয়া থানার গঙ্গারামপুরে মো. কাসেমের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল গফুর হত্যা মামলা করেন। প্রথমে পাবনা সদর থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও পরে পিবিআইকে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সবুজ আলী জানান, যুথী আক্তার তার পরিবারসহ যে বাসায় ভাড়া থাকতেন সেখানকার ভাড়া তোলার দায়িত্ব ছিল শাহজাহানের ওপর। এক সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। তবে যুথী একপর্যায়ে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তার স্বামী জাহাঙ্গীরকে বিষয়টি জানান।

এরপর জাহাঙ্গীর কয়েকজনের সঙ্গে মিলে শাহজাহানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী শাহজাহানকে একটি বাড়িতে ডেকে নিয়ে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। এরপর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়া হয়।

এ ঘটনার পর যুথী ও জাহাঙ্গীর ঢাকায় পালিয়ে যান।

গত ১২ এপ্রিল এই মামলার আরেক আসামি ইব্রাহীম প্রামাণিককে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে নেয়া হলে তিনি হত্যার সঙ্গে নিজের ও যুথীদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন।

পিবিআইয়ের পাবনা প্রধান পুলিশ সুপার ফজলে এলাহী জানান, যুথী ও জাহাঙ্গীর এই হত্যায় নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। তারা যাদের নাম প্রকাশ করেছে তাদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর