২৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) খাল খনন প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য সাইদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে এ প্রকল্পের কাজ বন্ধের অভিযোগ আনে লক্ষ্মীপুর-হোগলাকান্দি পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির (পাবসস)।
পাবসসের অধীনে এলজিইডির ৫ দশমিক ৪ কিলোমিটার খালের খননকাজ চলছিল।
পাবসসের সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘সাইদুর তার লোকজন নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে প্রকল্প এলাকায় জড়ো হয়ে এস্কাভেটর-চালক দেলোয়ার ও রাকিবকে মারধর করে কাজ বন্ধ করে দেন।’
এ ঘটনায় মোসলেম উদ্দিন গজারিয়া থানায় সাইদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এর আগে বিভিন্ন মাধ্যমে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন সাইদুর। দাবি করা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে লোকজন নিয়ে তিনি মঙ্গলবার কাজ বন্ধ করে দেন।’
এস্কাভেটর-চালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, কয়েক দিন ধরে তাকে মুঠোফোনে অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে হুমকি দেয়া হচ্ছিল। বেলা দুইটার দিকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কয়েকজন এসে তাকে মারধর করে এস্কাভেটর থেকে নামিয়ে দেয়। এরপর যদি মাটি কাটার কাজ চালিয়ে যান, তবে তাকে খুন করার হুমকি দেয়া হয়। এরপর থেকে এস্কাভেটর চালানো বন্ধ রেখেছেন তিনি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে এলজিইডির গজারিয়ার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ইশতিয়াক আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হামলার ঘটনার পর তারা স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পান। হামলায় দুজন এস্কাভেটর-চালক আহত হয়েছেন বলে তাকে জানানো হয়।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী নিউজবাংলাকে জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। এ ব্যাপারে কোনো তথ্য তার কাছে নেই।
ঘটনার বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য সাইদুর খান জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়ে তিনি কাজ থামানোর অনুরোধ করেছেন। তবে কাউকে মারধর করা হয়নি। তিনি বা তার লোকজন কারও কাছে চাঁদা দাবি করেননি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে জাইকার অর্থায়নে গজারিয়া উপজেলার ইমামপুরে ৫ দশমিক ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি খালের খননকাজ চলছে। ২০ দিন আগে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে খালের খননকাজ শুরু হয়। এরই মধ্যে অর্ধেকের বেশি অংশ খনন সম্পন্ন হয়েছে।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রইছ উদ্দিন জানান, এলজিইডির কাজ বন্ধের বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।