বগুড়ার শেরপুরে ১২ বছরের এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে এক নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে তোলা হয়।
শেরপুর থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।’
সোমবার রাতে ওই কিশোরীর বাবা শেরপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়। ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে চারজনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ পরিদর্শক জানান, গত ১৩ মে রাত ৮টার দিকে কিশোরী নিখোঁজ হয়। পরের দিন সকালে মেয়েটি নিজ বাড়িতে না গিয়ে এক আত্মীয়র বাড়িতে যায়। খবর পেয়ে তার বাবা সেখান থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে বাবার কাছে সব ঘটনার বর্ণনা দেয় ওই কিশোরী।
গ্রেপ্তার নারী পূর্বপরিচিত হওয়ায় ওই কিশোরীকে কৌশলে গ্রামের একটি বাঁশবাগানে নিয়ে যান। সেখানে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত ছয়জন।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আরও জানান, ঘটনার পর এলাকাবাসী দুই পক্ষের মধ্যে মীমাংসা করাতে চায়। তবে কিশোরীর বাবা রাজি না হওয়ায় তাকেও মারধর করে অভিযুক্ত একজন। এরপরেই মামলা করা হয়।
ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।