বান্দরবানের লামায় ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় মা ও মেয়ে ধর্ষণের শিকার হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ময়নাতদন্তে শরীরে পাওয়া জখমের চিহ্ন থেকে তাদের হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে ধারণা পুলিশের। বিষয়টি নিশ্চিত হতে আলামত পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি।
লামা পৌরসভার চম্পাতলী এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় কুয়েত প্রবাসী নূর মোহাম্মদের বাড়িতে স্ত্রী ও দুই মেয়ের মরদেহ পাওয়া যায়। নিহতরা হলো নূর মোহাম্মদের স্ত্রী মাজেদা বেগম ও দুই মেয়ে রাফি ও নুরি।
পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়, মাজেদা ও ১৩ বছরের রাফিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ১০ মাসের নুরীকে আঘাত করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
তাদের মধ্যে মাজেদা ও রাফির শরীরে একাধিক জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। হত্যার আগে তাদেরকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না, তা পরীক্ষার জন্য আলামত পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে পারিবারিক দ্বন্দ্ব, জমি নিয়ে বিরোধ ও ডাকাতি সব বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের চার দিন পার হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া মাজেদার দেবর, বোনসহ ছয়জনকে স্বজনদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার জেরিন আক্তার জানান, সন্দেহভাজন হিসেবে যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাদেরকে স্বজনদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে তাদেরকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজন সবাইকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, মা-মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল কি না জানতে আলামত পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।