বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়: দুর্বল বেড়িবাঁধ নিয়ে শঙ্কা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৫ মে, ২০২১ ০০:২১

কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আলী বলেন, তিন মাস হলো কয়রার মানুষ পানিমুক্ত হয়েছে। পানি আটকানো সম্ভব হলেও বাঁধগুলো দুর্বল হওয়ার কারণে আসছে ঝড়ে তা আবারও ভেঙে যেতে পারে। উপজেলার মধ্যে ৭টি পয়েন্ট খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

খুলনায় ৮৭৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের অন্তত ৩৫টি স্থানকে বেশি ঝুঁকিপুর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ফলে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস উপকূলে আঘাত হানলে এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থান ফের ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হতে পারে এমন শঙ্কায় রয়েছে উপকূলবাসী।

জানা গেছে, গত বছরের ২১ মে আম্পান আঘাত হানার পর কয়রা উপজেলার অন্তত ৩০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে তলিয়ে যায় লোকালয়। এ ছাড়া পাইকগাছা এবং ডুমুরিয়ার কয়েক কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। তবে ডুমুরিয়া ও পাইকগাছায় স্থানীয়দের সহায়তায় দ্রুত বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হলেও কয়রার মানুষের বাড়িঘর গত ৮/৯ মাস পানিতে তলিয়ে ছিল। এবার পুরোপুরি মেরামত না হওয়ায় আসছে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আবারও বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।

কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আলী বলেন, তিন মাস হলো কয়রার মানুষ পানিমুক্ত হয়েছে। পানি আটকানো সম্ভব হলেও বাঁধগুলো দুর্বল হওয়ার কারণে আসছে ঝড়ে তা আবারও ভেঙে যেতে পারে। উপজেলার মধ্যে ৭টি পয়েন্ট খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

এর মধ্যে গোবারা ঘাটাখালী, কয়রা মদিনাবাদ তহশীল অফিস এলাকা, ২ নম্বর কয়রা খাশিরখাল সংলগ্ন রিংবাধ এরিয়া (কয়রার পাশ) ও দশহালিয়া, কাটকাটা, কাশিরহাটখোলা এলাকার বাঁধ খুবই নিচু এবং দুর্বল। মানুষ আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সীমানা জটিলতায় জেলার কয়রা উপজেলার দেখভাল করে থাকে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড। সাতক্ষীরা পাউবো-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশিদুর রহমান বলেন, কয়রার মোট ২৬টি পয়েন্ট বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এরমধ্যে হোগলা, দশহালিয়া, গোবিন্দপুর, চরামুখা, আংটিহারা, হরিহরপুর, হোগলাবুনিয়া, ঘড়িলাল বাজার, কাটকাটা উল্লেখযোগ্য।

তিনি বলেন, আম্পানে ভেঙে যাওয়ার পর গত এক বছরে ৩৩ কিলোমিটার বাঁধ মেরামত করা হয়েছে। এরমধ্যে কয়রার কাশিরহাট খোলা এবং ঘাটাখালী এলাকায় ৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ মেরামত করেছে সেনাবাহিনী।

অন্যদিকে অন্যান্য এলাকার বাঁধ মেরামত করে পাউবো। সেখানে ব্যয় করা হয়েছে ২২ কোটি টাকা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনা-১ ও ২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম জানান, পাউবো ১ ও ২ এর আওতায় ৮৭৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এরমধ্যে ২০ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। তবে অতিমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। দাকোপ উপজেলার ৩১ পোল্ডারের আন্ধারমানিক এলাকা এবং পাইকগাছা উপজেলার ১০/১২ ও ১৮/১৯ পোল্ডার ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে। তবে এখন আপৎকালীন সময়ে কিছু বাঁধ উঁচু করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে কয়রা-পাইকগাছার এমপি আকতারুজ্জামান বাবু বলেন, ‘গেল আম্পানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এক বছরের মধ্যে আমরা এত বড় এলাকার বাঁধ সংস্কার করতে সক্ষম হয়েছি। পানি আটকানো গেছে। এরমধ্যেও কিছু কিছু জায়গার বাঁধে দুর্বলতা থাকতে পারে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সেগুলোকে চিহ্নিত করে মাটি চাপা দেয়ার।’

এ বিভাগের আরো খবর