গোপালগঞ্জ শহরের একটি বাসা থেকে সাইফুল ইসলাম নামে এক ওষুধ কোম্পানির ম্যানেজারের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে জেলা শহরের মোহাম্মদপাড়ার সাহিদুল ইসলামের বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকে তার গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ৫০ বছর বয়সী সাইফুল ফ্ল্যাটটিতে ভাড়া থাকতেন।
তিনি এপিসি ফার্মাসিউটিক্যালের এরিয়া ম্যানেজার (আরএসএম) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার গংগাদি গ্রামে।
সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, শহরের মোহাম্মদপাড়ার মালেকা একাডেমি স্কুলের পাশে সাহিদুল ইসলামের বাড়ির দ্বিতীয়তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন খাদিজা বেগম নামের এক নারী।
জুন মাসের এক তারিখ থেকে তাদের ফ্লাটে ওঠার কথা থাকলেও মালিকের কাছে বলে ৫-৬ দিন আগে বাসায় উঠে পড়েন তারা। ওঠার সময় ওই নারী সাইফুল ইসলামকে তার স্বামী হিসেবে বাড়ির মালিক সাহিদুলের কাছে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর থেকে তাদের সঙ্গে বাড়ি মালিকের দেখা হয়নি।
রোববার রাত ২টার দিকে পাশের ইউনিটের লোকজন ওই ইউনিট থেকে গন্ধ বের হওয়া টের পেয়ে বাড়ির মালিককে জানান। মালিক পুলিশকে খবর দেন।
পরে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে বাথরুম থেকে সাইফুল ইসলামের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে।
ওসি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ৪-৫ দিন আগে তাকে হত্যা করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য সোমবার মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় সাইফুল ইসলামের এক আত্মীয় মামলা করেছেন বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ছানোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, শিগগিরই হত্যারহস্য জানা যাবে।