বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সোনার মূর্তি বিক্রির কথা বলে প্রতারণা, আটক ২

  •    
  • ২৪ মে, ২০২১ ২২:১৫

প্রতারক চক্রটি এরপর ওই মূর্তিটির দাম ৪ লাখ টাকা বলে। মাসুদ রানা নগদ দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু প্রতারক চক্রের সদস্যরা মাসুদ রানাকে মূর্তিটি না দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যান। পরে তিনি ঘটনাটি পুলিশকে জানান।

রংপুরে সোনার মূর্তি বিক্রির করার কথা বলে প্রতারণা করার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরা হলেন মিরাজুল ও মো. রুবেল। পুলিশের দাবি এই দুজন একটি প্রতারক চক্রের সদস্য।

শনিবার প্রতারক চক্রের মূল হোতা মিরাজুলকে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার চর বেরুবাড়ি থেকে আর রুবেলকে রংপুর নগরীর কামাল কাচনা চিড়ারমিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আলু ব্যবসায়ী মাসুদ রানা সোমবার সকালে মাহিগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।

সোমবার দুপুরে নগর গোয়েন্দা পুলিশ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায়।

নগর গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, কিছুদিন আগে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার দেউতি এলাকার আলু ব্যবসায়ী মাসুদ রানার সঙ্গে রংপুর মহানগরীর কামাল কাচনা চিড়ার মিল এলাকার রুবেলের পরিচয় হয়।

রুবেল পরে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার চর বেরুবাড়ি এলাকার রাজমিস্ত্রি মিরাজুল ইসলামের সঙ্গে মাসুদ রানার পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর ফোনালাপের মাধ্যমে মাসুদ রানার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান মিরাজুল। এক পর্যায়ে তিনি মাসুদ রানাকে বলেন, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া এলাকায় তার পরিচিত মনসুর ফকির নামক এক ব্যক্তির খালা স্বপ্নের মাধ্যমে একটি স্বর্ণের মূর্তি পেয়েছেন। মূর্তিটি অনেক দামি ও বিরল। ভালো গ্রাহক পেলে মূর্তিটি বিক্রি করবেন। তখন মাসুদ রানা মূর্তি কিনতে রাজি হন।

এরপর গত ২৮ এপ্রিল রাত আড়াইটার দিকে নগরীর আমতলি মোড়ে মনসুর ফকির এসে মিরাজুলের মাধ্যমে মাসুদ রানাকে কথিত স্বর্ণের মূর্তি দেখান। বিশ্বাস বাড়াতে প্রতারক চক্র মাসুদকে স্বর্ণের মূর্তি থেকে ছোট্ট এক টুকরো ভেঙে দেয়।

অল্প সময়ের মধ্যে ছোট্ট স্বর্ণের টুকরাটি কাছের একজন স্বর্ণকারের মাধ্যমে পরীক্ষা করান এবং তিনি প্রকৃত স্বর্ণ বলে নিশ্চয়তা দেন।

প্রতারক চক্রটি এরপর ওই মূর্তিটির দাম ৪ লাখ টাকা বলে। মাসুদ রানা নগদ দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু প্রতারক চক্রের সদস্যরা মাসুদ রানাকে মূর্তিটি না দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যান। পরে তিনি ঘটনাটি পুলিশকে জানান।

এরপর শনিবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান নিউজবাংলাকে বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা হওয়ার পর তাদের আমরা গ্রেপ্তার দেখিয়েছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।

তিনি বলেন, এটি একটি বড় প্রতারক চক্র। পুরো চক্রটি এখন পুলিশের নজরে রয়েছে। যে কোন সময় চক্রের সদস্যরা পুলিশের জালে চলে আসবে।

এ বিভাগের আরো খবর