স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার আগেই ১৯ মামলার আসামি হিসেবে পলাতক ছিলেন মইনুল ইসলাম কাজল ভূঁইয়া।
সর্বশেষ স্ত্রী ডলি বেগম হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিসেবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির একটি দল সোমবার রাত ১টার দিকে সিলেটের জাফলং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
তাকে গ্রেপ্তারের পর সিআইডির সদস্যরা জানতে পারেন, স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা মামলা ছাড়াও আরও ১৯ মামলার পলাতক আসামি তিনি।
কাজল ভূঁইয়ার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামে।
সিআইডির মিডিয়া সেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান নিউজবাংলাকে জানান, ১৩ মে সকাল ছয়টার দিকে কাজল ভূঁইয়া নিজ বাড়িতে তার স্ত্রী ডলি বেগমের গায়ে পেট্রল ঢেলে লাইটার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। তখন ডলির চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ মে সকালে মারা যান ডলি। এরপর আত্মগোপনে চলে যান কাজল। ২০ মে ডলির ভাই মো. বল্লিাল হোসেন আখাউড়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
এই মামলায় সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধরের নেতৃত্বে একটি দল বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে কাজল ভূঁইয়াকে শনাক্ত করেন। শেষমেশ জাফলং থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, কাজল ভূঁইয়া ও ডলি বেগমের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। ১৩ মে সকালে তাদের মধ্যে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কাজল তার ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল থেকে খালি পানির বোতলে পেট্রল এনে ডলি বেগমের গায়ে ঢেলে লাইটার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে তার নিজেরও বাম হাতে আগুন লেগে পুড়ে যায়।
কর্মকর্তারা আরও জানান, কাজল ভূঁইয়া একজন পশোদার অপরাধী। তিনি পেশাদার মাদক কারবারি। তার বিরুদ্ধে মাদকের ১৩টি মামলাসহ ১৯টি মামলা আছে। আখাউড়া থানাতেই তার নামে তিনটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের অপেক্ষায় মুলতবি আছে। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে একটি সাদা টয়োটা গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।