ঘূর্ণিঝড়ের আগে সতর্কতামূলক প্রচারণা এবং পরে উদ্ধার কার্যক্রমে বরিশালে কাজ করে থাকে সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস প্রোগ্রাম (সিপিপি) অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির স্বেচ্ছাসেবকরা। তবে সেই স্বেচ্ছাসেবক বরিশাল নগরী বাদে জেলার কোনো উপজেলাতেই নেই। এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সিপিপি কর্মকর্তারাই। তারা জেলার ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলাগুলোতে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের জন্য বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের সহায়তা কামনা করেছেন ।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় ইতিমধ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে বিভাগীয় প্রশাসন ও সিপিপি।
সিপিপি বরিশাল জোনাল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকার তিনটি ইউনিটে ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকলেও জেলার অন্য কোনো উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবক নেই।
বরিশাল জোনে সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন ৩৩ হাজার ৪০০। এর মধ্যে পটুয়াখালী জেলায় রয়েছেন পাঁচ হাজার ৬৪০ জন, ভোলায় ১৩ হাজার ৬০০, বরগুনায় ১১ হাজার ৬০০, পিরোজপুরে এক হাজার ৭০০, বরিশাল সিটি করপোরেশনে ৬০ জন এবং বাগেরহাটের শরণখোলায় রয়েছেন ৯০০ স্বেচ্ছাসেবক।
সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস প্রোগ্রাম (সিপিপি) বরিশাল জোনের উপপরিচালক শাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, ‘বরিশাল সিটি বাদে আমাদের এই জেলার আর কোথাও কোনো স্বেচ্ছাসেবক নেই। বড় কোনো ঘূর্ণিঝড় এলে সে ক্ষেত্রে উদ্ধার কার্যক্রমে আমাদের অনেক ঝামেলা হবে।’
তিনি বলেন, বরিশাল জেলার হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ, মুলাদী, বাকেরগঞ্জ ও সদর উপজেলার একটা অংশ পুরোপুরি নদীবেষ্টিত ও ঝুঁকিপূর্ণ। এসব এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে সিপিপির কার্যক্রম চালু করা দরকার। কমপক্ষে ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজন বরিশাল জেলার পাঁচ উপজেলায়। এই জেলার গ্রামগঞ্জে কোনো স্বেচ্ছাসেবক না থাকা এই মুহূর্তে আমাদের জন্য বড় চিন্তার বিষয় ।
এই বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেই জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে জেলা প্রশাসককে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি।’