কক্সবাজার ও চুয়াডাঙ্গায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কৃষক।
রোববার বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে কাজ করার সময় মোহাম্মদ জিলানী নামে এক শ্রমিক মারা গেছেন।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
জিলানীর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। তিনি পস্কোর সিভিল ডিপার্টমেন্টে সাধারণ ওয়ার্কার হিসেবে টেকনিশিয়ানের কাজ করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শ্রমিকরা জানান, মাগরিবের নামাজের কিছু সময় পরই বজ্রাঘাতে জিলানী মাটিতে লুটে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রকল্প এলাকার হাসপাতালে নিয়ে যান অন্য শ্রমিকরা। এ সময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে কুতুবদিয়ার লেমশীখালী ইউনিয়নে একই সময় বজ্রপাতে আব্দুর রহমান নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
আব্দুর রহমান লেমশীখালী ইউনিয়নের বশির উল্লাহ সিকদার পাড়ার বাসিন্দা।
নিহতের পারিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন দেখে লবণ রক্ষা করতে মাঠে ছুটে গিয়েছেন আব্দুর রহমান। লবণ পলিথিনে মোড়ানো শেষে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে তার পুরো শরীর ঝলসে যায়।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চুয়াডাঙ্গায় বজ্রপাতে আশাদুল হক নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও একজন।
সদর উপজেলার শ্রীকোল বোয়ালিয়া গ্রামে রোববার বেলা তিনটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আশাদুল হক সদর উপজেলার হানুরবাড়াদি গ্রামের স্কুলপাড়ার বাসিন্দা। আহত হয়েছেন একই উপজেলার শ্রীকোল বোয়ালিয়া গ্রামের রবিউল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিকেলে শ্রীকোল বোয়ালিয়া গ্রামের স্কুলের পাশের একটি আমবাগানে পাওয়ার ট্রিলার নিয়ে যান আশাদুল ও রবিউল। সেখানে আম বোঝাই করে চুয়াডাঙ্গা শহরের দিকে যাওয়ার পথে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আশাদুল। আহত রবিউলকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইদুজ্জামান জানান, আহত রবিউল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, আশাদুলের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।