বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষক এএস কাইউম উদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপাধ্যক্ষ পদে তার পদায়নের বিরোধীতা করে বিক্ষাভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের একাংশ।
কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
তবে অনিয়ম ও দুর্নীতির সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাইউম উদ্দিন। তিনি বলেন, একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, কাইউম উদ্দিনের সঙ্গে ছাত্রলীগের একাংশের নেতাদের আগে থেকেই নানান বিষয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। তাছাড়া বর্তমান শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আলামিন সরোয়ারের সঙ্গেও তার বিরোধ রয়েছে। এসব দ্বন্দ্বের জেরে তাকে যোগদানে বাধা দেয়া হচ্ছে।
জেলা ছাত্রলীগের উপ ছাত্রবৃত্তি সম্পাদক সুমন খান বলেন, ‘আগে কাইউম উদ্দিন বিএম কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সে সময় তিনি এই কলেজে নানা দুর্নীতি করেছেন। কলেজ ফান্ড থেকে দুর্নীতি করে টাকা উত্তোলন করে তিনি বিতর্কিত হয়েছিলেন। এমন দুর্নীতিবাজকে উপাধ্যক্ষ পদে পদায়ন দেয়ায় বিক্ষোভ করছেন তারা।’
উপাধ্যক্ষ পদে সদ্য পদায়নপ্রাপ্ত কাইউম উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘স্বার্থান্বেষী একটি মহল আমার যোগদান ঠেকাতে চাচ্ছে। আমি যোগদান করতে চেয়েছি তবে অপরিচিত নম্বর থেকে কল দিয়ে আমাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আজকের দিনটি অবজারভ করে পরবর্তীতে কী করবো সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
বিএম কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘সকাল থেকে কিছু ছেলে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েছে। তারা লিখিতভাবে আমাকে কিছু জানায়নি। তবে শুনেছি উপাধ্যক্ষ পদে কাইউম উদ্দিন যাতে যোগদান করতে না পারে তার জন্য তারা সেখানে অবস্থান নিয়েছে।’