বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রৌমারীতে সড়কের কাজ শেষ না করে বিল উত্তোলন

  •    
  • ২৩ মে, ২০২১ ১৫:৫১

উপজেলার বড়াইবাড়ী সীমান্ত এলাকায় একটি জরাজীর্ণ কাঁচা সড়ক পাকা করার প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘ চার বছরেও সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। ঠিকাদারের অনিয়ম ও এলজিইডির কর্মকর্তাদের গাফিলতিকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) একটি সড়কের কাজ শেষ না করেই বিল উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।

উপজেলার বড়াইবাড়ী সীমান্ত এলাকায় একটি জরাজীর্ণ কাঁচা সড়ক পাকা করার প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘ চার বছরেও সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এ জন্য ঠিকাদারের অনিয়ম ও এলজিইডির কর্মকর্তাদের গাফিলতি ও অবহেলাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।

তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে বড়াইবাড়ীর মানুষ।

রৌমারী উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রৌমারী উপজেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (বিলুপ্ত ছিটমহল) প্রকল্পের আওতায় কর্তিমারী জিসি থেকে বড়াইবাড়ী বিওপি ক্যাম্প পর্যন্ত ২ দশমিক ৬৬৫ কিলোমিটার রাস্তার কাজ পায় ‘মেসার্স খায়রুল কবির রানা’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ৪২ লাখ ৮৩ হাজার ৯৬৯ টাকা। পরে কাজটি স্থানীয় এক ঠিকাদারের কাছে ‘বিক্রি’ করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। কাজটি ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা আজও শেষ হয়নি।

এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নির্মাণাধীন সড়কটির বেশির ভাগ অংশ খানাখন্দ, কাদামাটিতে ভরা। কিছু অংশে খোয়া ফেলা হলেও করা হয়নি কার্পেটিংয়ের কাজ। এটি যে নির্মাণাধীন সড়ক, তা দেখে বোঝার উপায় নেই।

২০১৫ সালে ছিটমহল বিনিময়ের সময় বড়াইবাড়ী সীমান্তের অপদখলীয় ২২৬ একর জমি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়। রাস্তাঘাট না থাকায় ৬৮ বছর ধরে উন্নয়নবঞ্চিত বড়াইবাড়ীর মানুষের জন্য সেতু ও সড়ক বাবদ ৫ কোটি টাকার প্রকল্প নেয় সরকার।

বড়াইবাড়ী এলাকার মেহেদী হাসান অভিযোগ করে বলেন, রাস্তাটির নির্মাণকাজ শেষ না করেই কর্মকর্তাদের সহায়তায় ঠিকাদার সব টাকা তুলে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

কৃষক আবু শামা (৬০) বলেন, যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় এখানকার কৃষিপণ্য পরিবহনে বেশি খরচ লাগে। অসুস্থ মানুষকে সময়মতো হাসপাতালে নেয়া যায় না।

স্থানীয় শিল্পী সরকার বলেন, ‘প্রায় দেড়-দুই বছর আগে মাটি-খোয়া ফেলা হয়েছে রাস্তার কিছু অংশে। এরপর আজ পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি। কাঁচা এই রাস্তায় বর্ষাকালে চলাচল করা যায় না। অসুস্থ মানুষ নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মনে হয় আমরা এখনও ছিটমহলেই আছি।’

রৌমারী উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল জলিল বলেন, তিনি এখানে যোগদানের আগেই এ প্রকল্পের বেশির ভাগ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। পরে সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই প্রকল্পের কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। তাই এ প্রকল্পের ৬৫ লাখ টাকার পে-অর্ডার আটকে রাখা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই টাকা ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স খায়রুল কবির রানার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে ওই প্রতিষ্ঠানের কোনো মোবাইল নম্বর নেই বলেও জানান উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল জলিল এবং উপসহকারী প্রকৌশলী মেজবাহ আলম।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, ‘কাজ চলমান রয়েছে। খুব দ্রুতই আমরা কাজটি শেষ করব।’

এ বিভাগের আরো খবর