গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর প্রাচীর টপকে ভেতরে ঢুকে আম পাড়তে বাধা দেয়ায় কারারক্ষীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচ কারারক্ষী আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় কোনাবাড়ি থানায় মামলার পর রাতে তিন বহিরাগত যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রোববার সকালে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আহত কারারক্ষীরা হলেন এরশাদ হোসেন, মো. সুজন খান, পারভেজ হোসেন, হারুন অর রশিদ ও মিজান খান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন গাজীপুরের কোনাবাড়ির এঞ্জেল গেট এলাকার বাসিন্দা ময়মনসিংহের ত্রিশালের মো. নাঈম, কোনাবাড়ি হরিণের চালা এলাকার বাসিন্দা রাজশাহীর মোহনপুর ফুলশর এলাকার মো. করিম ও তার ছোট ভাই মোহাম্মদ জামান।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেলার মো. আবু সায়েম জানান, শনিবার দুপুরে কারাগারের পূর্ব পাশের সীমানাপ্রাচীর টপকে ওই তিন যুবকসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক ব্যক্তি কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করে।
এ সময় কারারক্ষী এরশাদ হোসেন তাদের বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে তারা বাইরে চলে যায়। পরে কারারক্ষীরা প্রাচীরের বাইরে গেলে আসামিরা তাদের লাঠি দিয়ে হামলা করে পালিয়ে যায়।
এ সময় আহত কারারক্ষীদের উদ্ধার করে কারা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। কারারক্ষী এরশাদের মাথায় জখম হওয়াসহ কয়েক কারারক্ষী কমবেশি আহত হন।
তাদের মধ্যে এরশাদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কোনাবাড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কানিজ ফাতেমা জানান, এ ঘটনায় শনিবার রাতে কারারক্ষী এরশাদ হোসেন কোনাবাড়ি থানায় মামলা করেছেন। পরে রাতেই পুলিশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। রোববার সকালে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।