উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ থেকে আশ্রয়কেন্দ্রের সুরক্ষার দরকার অন্তত তিন লাখ মানুষের। কিন্তু জেলায় আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে ১৪৫টি। এতে জায়গা হবে প্রায় ৭২ হাজার মানুষের। বাকিদের জন্য শেষমেশ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেই ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে লঘুচাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে। এটি ঝূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। পরে এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে সোমবার উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌঁছতে পারে।
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি মোকাবিলায় শনিবার সাতক্ষীরায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা হয়।
জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘জেলায় ১৪৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এর সঙ্গে দেড় হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুর্যোগ সময় ব্যবহার করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তুত করতে ইতোমধ্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, জেলায় বর্তমানে ১৮৩ টন খাদ্যশস্য মজুত আছে এবং নগদ দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। পানির ব্যবস্থাসহ পানি বিশুদ্ধকরণের ব্যবস্থাও আছে। থাকবে মেডিক্যাল টিমও।
সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা জানান, জেলার ৮০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ১৯টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের বলেন, ‘জাইকার অর্থায়নে ১৭ কোটি টাকার বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজ চলছে। এছাড়া ১০২৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে রয়েছে।’
পাউবোর আরেক নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ বাপ্পী জানান, আশাশুনির কুড়িকাহুনিয়ায় ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করছে সেনাবাহিনী।
জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ সাহা নিউজ বাংলাকে জানান, ১৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্রের প্রতিটির ধারণ ক্ষমতা ৩০০ থেকে ৫০০ জন। এ কারণে দেড় হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে, যাতে সাড়ে তিন লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারে।