বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেঘের রাজ্যে এক লাখ চারা রোপণের উদ্যোগ

  •    
  • ২২ মে, ২০২১ ১৮:০৯

জিকু নিউজবাংলাকে জানান, এই কর্মসূচি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে ভবিষ্যতে পাহাড় আবার তার বৈচিত্র্যময়তা ফিরে পাবে। সাজেকের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রকৃতিকে বাঁচাতেই তার এই উদ্যোগ।

পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে কাটা পড়ছে গাছ। প্রকৃতি হারাচ্ছে তার ভারসাম্য। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকিতে পুরো বিশ্ব।

এর মাঝে প্রকৃতি বাঁচাতে এক তরুণ নিয়েছেন গাছ লাগানোর উদ্যোগ।

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে পর্যটন কেন্দ্র সাজেকে জিকু তালুকদার লাগাবেন এক লাখ গাছের চারা।

শুকনোছড়া এলাকায় পঞ্চাশটি তেঁতুল ও আম গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে শুক্রবার সকালে তিনি তার এই উদ্যোগের বাস্তবায়ন শুরু করেছেন। আগ্রহী স্থানীয়দের মাঝে ফলজ, ঔষধিসহ নানা প্রজাতির গাছের চারা ও বীজ বিতরণ করা হয়। তারা এগুলো নিজেদের সুবিধামতো জায়গায় রোপণ করেছেন।

এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে তাকে সহযোগিতা করছে ‘The Voice of CHT Youth’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

জিকু নিউজবাংলাকে জানান, এই কর্মসূচি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে ভবিষ্যতে পাহাড় আবার তার বৈচিত্র্যময়তা ফিরে পাবে। সাজেকের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রকৃতিকে বাঁচাতেই তার এই উদ্যোগ।

তিনি আরও জানান, তার লক্ষ্য এক বছরে এক লক্ষাধিক চারা লাগানো। শুক্রবার ৫০টি চারা লাগিয়ে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন। তবে চারা রোপণে ইচ্ছুক যে কেউ বনজ, ফলজ, ঔষধি ও অন্যান্য প্রজাতির গাছের চারা ও বীজ দিয়ে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

এ বিষয়ে রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান বলেন, ‘পার্বত্য রাঙ্গামাটিকে সবুজ বনাঞ্চলে পরিণত করতে অবশ্যই বৃক্ষের চারা রোপণ করা প্রয়োজন। জিকুর এই উদ্যোগটি অবশ্যই প্রশংসনীয়।’

তবে চারাগুলো যেন সঠিক সময়ে রোপণ করা হয় সেই বিষয়টি খেয়াল রাখার কথা জানান তিনি।

পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য প্রিয়নন্দ চাকমা জানান, তারা যখন ছোট ছিলেন তখন পানির অভাব ছিল না। প্রকৃতি সবুজ ছিল। এখন যেভাবে গাছপালা কেটে উজাড় করা হচ্ছে তাতে ঝিরিগুলোও শুকিয়ে গেছে।

তিনি আরও জানান, এই চারা রোপণের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। চারার প্রয়োজন হলে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সহায়তা দেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর