জামরুল পাড়াকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর সেনবাগে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সেনবাগ থানায় আটজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুরুল হুদা বাবলুর মৃত্যু হয়। এর আগে বুধবার বিকেল ৪টার দিকে নিজ বাড়িতে তাকে বেধড়ক মারধরের পর কুপিয়ে জখম করা হয়।
সেনবাগ থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত নুরুল উপজেলার ৭ নম্বর মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মধ্যম মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নুরুলের সঙ্গে প্রতিবেশী আবদুর রবের বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। বুধবার বিকেল ৪টার দিকে রবের নাতি অন্তর ওই সীমানায় থাকা একটি গাছ থেকে জামরুল পাড়া শুরু করলে নুরুল ও তার পরিবারের সদস্যরা বাধা দেন।
এ সময় অন্তর তার দলবল নিয়ে প্রকাশ্যে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নুরুল, তার স্ত্রীসহ পরিবারের পাঁচজনকে গুরুতর আহত করেন।
প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে নুরুলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে মারা যান তিনি।
নিহতের বোন খালেদা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ‘নুরনবী, কামাল উদ্দিন, মো.আজাদ, অন্তর, রিনা বেগম, নার্গিসসহ কয়েকজন আমার ভাইকে কুপিয়ে এবং রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। রডের আঘাতে আমার ভাইয়ের ঘাড়ের রগ ছিঁড়ে যায়।’
এ ঘটনায় আহত নুরুলের স্ত্রী কাজল সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধী। স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা নিউজবাংলাকে বলেন, ঘটনার পর সেনবাগ থানায় আটজনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। নুরুলের মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়। পুলিশ জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।