ধর্মভিক্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনটি বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিয়েতে ছিল না কোনো কাজি। হয়নি কোনো কাবিননামাও। মামুনুল হক কাবিননামা ছাড়াই তাদের সঙ্গে মেলামেশা করা করে ভুল করেছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন ।
১৮ মে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে জান্নাত আরা ঝর্ণার ধর্ষণ মামলাসহ আলাদা তিনটি মামলায় মোট ৯ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের গোয়েন্দা শাখায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। সেগুলো যাচাইবাছাই করছে মামলার সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তারা।
এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি নিউজবাংলাকে আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক জানিয়েছেন তিনটি বিয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিয়েতে কাজি ছিল না।
কাবিননামাও হয়নি। তিনি কাবিননামা ছাড়াই ওই দুই নারীর সঙ্গে মেলামেশা করে ভুল করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। বিয়ের বিষয় ছাড়াও আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন হেফাজতের এই নেতা।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম নিউজবাংলাকে জানান, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক তার বিয়ে সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কেও তথ্য দিয়েছেন তিনি। এসব তথ্য পুলিশ যাচাইবাছাই করে দেখছে। ৯ দিনের রিমান্ড শেষ সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীসহ অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। ওই নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন তিনি। পরে এই ঘটনায় মামুনুল হকের অনুসারী নেতা-কর্মীরা রিসোর্টসহ আওয়ামী লীগ অফিস, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাড়িঘরে ভাঙচুর চালান। মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেন।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা ও পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেন। এর মধ্যে দুইটি মামলায় মামুনুল হককে প্রধান আসামি করা হয়। এ ছাড়া মামুনুল হকের রিসোর্ট সঙ্গিনী জান্নাত আরা ঝর্ণার করা ধর্ষণ মামলায় তাকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।