পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খানের শহরের বাড়ি ঘিরে রেখে ২০ ঘন্টা পর পুলিশ প্রত্যাহার করা হয়। তবে ওই বাড়ি থেকে কাউকে গ্রেপ্তার বা কোনো কিছু উদ্ধার করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শহরের শালগাড়িয়া খাদ্য গুদাম সংলগ্ন রোকেয়া ভিলা নামের ওই বাড়ির প্রধান গেট আটকে বসে থাকে পুলিশ। শুধু বাড়ির সামনেই না পেছন দিকেও পাহারায় ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ দীর্ঘ সময় বাড়ির কাউকে বাইরে আসতে এবং বাইরে থেকে কাউকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
এই ব্যাপারে মুঠোফোনে চেয়ারম্যান সাঈদ খান বলেন, আমি কিছুই জানি না। কেন আমার বাড়ি ঘিরে রেখেছিল সেটি আমাকে বলছে না পুলিশ প্রশাসন। আমি রোজার মধ্যে ঈদের দুইদন আগে আমার গ্রামের বাড়ি ভাঁড়ারায় চলে এসেছি। এখন পর্যন্ত আমি শহরের বাড়িতে যাইনি। যদি পুলিশের কাছে কোনো তথ্য থাকে তবে আমার বাসায় সার্চ করুক। আমাকে ডেকে পাঠাক আমি গিয়ে তাদের সামনে হাজির হচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, দলের এবং নেতাকর্মীসহ স্থানীয় সংসদ সদস্যকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা বলেছেন বিষয়টি দেখছেন।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রোকনুজ্জামান বলেন, ‘শহরের চাঞ্চল্যকর রনি শেখ ওরফে ভাতিজা রনি হত্যাকাণ্ডের পর হত্যাকারীদের ফোন লোকেশন সেখানে ছিল। আমরা আবু সাঈদ খানের বাড়ি ঘিরে রাখিনি। তার আশপাশের সন্দেহজনক বেশ কিছু অংশ আমরা নজরদারিতে রেখেছিলাম। তবে সেটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। ‘
রনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে চেয়ারম্যান সাঈদ খানের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না এই ধরনের কোনো বিষয় নয়। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা আমরা পাইনি। তবে সন্দেহ করা হচ্ছিল এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা এই স্থানে থাকতে পারে। তাদের মোবাইল ফোনের লোকেশন এখানে ছিল।
রনি হত্যাকাণ্ডের সর্বশেষ বিষয়ে জানতে চাইলে রোকনুজ্জামান বলেন, মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পাশাপাশি সন্দেহভাজন আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।