বিয়েতে নবদম্পতিকে বিভিন্ন উপহার দেয়ার রেওয়াজ রয়েছে। জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী নিয়ে বিয়েবাড়িতে কাউকে আসতে দেখা যায়না।
তবে কোথাও বিয়ে হচ্ছে জানতে পারলেই স্বামী-স্ত্রীর জন্য আলাদা জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী উপহার দিচ্ছেন ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা।
উপহার বক্সে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ছাড়াও থাকছে মূল্যবান দেয়ালঘড়ি, সম্মাননা কার্ড, সুখী দাম্পত্য জীবন সম্পর্কিত মোটিভেশনাল বই।
বেসরকারি সংস্থা পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনালের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ‘সুখী পরিবারের তত্ত্বাবধানে’ প্রকল্পের আওতায় এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় জানিয়েছে, সারাদেশে অধিদপ্তর থেকে একটি পাইলট প্রকল্পের আওতায় দেশের ১০টি উপজেলায় এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলাকেও বেছে নেয়া হয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শুরু থেকে গৌরীপুর উপজেলায় এই কার্যক্রম শুরু হয়। এ পর্যন্ত শতাধিক বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। নবদম্পতিদের প্রত্যেকের বাড়িতে এসব উপহার পৌঁছে দেয়া হয়েছে। দেশে বাল্যবিয়ে ঠেকাতে ও কিশোরী বয়সে গর্ভধারণ রোধের জন্যই এই উদ্যোগ।
উপজেলায় পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক দুলাল উদ্দিন বলেন, ‘সীমিত সন্তান গ্রহণকে পরিবার পরিকল্পনা বলা হলেও মূলত এই কর্মসূচিতে রয়েছে পূর্ণাঙ্গ আধুনিক সুখী জীবন-যাপন নিশ্চিত করার জন্য কারিগরি শিক্ষা।’
গৌরীপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘বাল্যবিয়ের কারণে এখনও ৩১ শতাংশ নারী কিশোরী বয়সে গর্ভধারণ করেন। ফলে ৯০ শতাংশ শিশু জন্মের সময়ই মৃত্যুঝুঁকিতে থাকে। ঝুঁকি কমাতেই মূলত এ কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে এই কার্যক্রম চলছে।’