সাভারে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের বাগানের ফুল ছেঁড়ার অভিযোগে দুই শিশুকে পিটিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে।
মারধরের বিচার চাইতে গিয়েও প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার শহীদুল মণ্ডলের নানান লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী শিশু দুটির পরিবার।
আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের পুকুরপাড় এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহীদুল মণ্ডলের মালিকানাধীন সুরুজ্জামান কিন্ডারগার্টেন স্কুলে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর থেকেই মুঠোফোন বন্ধ রেখে গা ঢাকা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির অভিযুক্ত শিক্ষক মেহেদী হাসান।
নির্যাতনের শিকার দুই শিশু হলো সিয়াম বাবু ও মো. সালমান। সিয়াম শিমুলিয়ার পুকুরপাড় এলাকার একটি ভাড়া বাসায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করে। আর সালমান সিয়ামের প্রতিবেশী।
শিশু সিয়ামের বাবা সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্কুলের ভেতরে অনেক পোলাপানের লগে ওরা খেলতেছিল। ওই পোলাপানের কে না কি ফুল ছিঁড়ছে? সেই ফুল ছেঁড়ার কারণে মেহেদী মাস্টার ধমক মারছে। স্কুলের ভেতরে যে পোলাপানগুলা ছিল, এরা সবাই পালাইছে। বাহিরে এদের দুইজনকে পাইয়া ইচ্ছামত মাইরধর করছে। পিঠে এইগুলা মনে করেন মাইরা ফুলায় ফালাইছে।
‘এরা দুইজন (বাচ্চারা) নাকি বলছে, আমরা ছিঁড়ি নাই। আমরা এখানে খেলতেছি। তো যাক ভুল হয়্যা গেছে স্যার আর খেলব না। ওরা না কি ভুলও স্বীকার করছে ওই মাস্টারের কাছে। তারপরও ওই মাস্টার ছাড়ে নাই, ইচ্ছামতন ধইরা মারছে। বাইরে গালে মুখে হাত দিয়ে থাপ্পড় দিতে দিতে স্কুলের ভিতরে নিয়া গেছে। পরে বেত দিয়া মাইরা পিঠ একদম ফুলায় দিছে।
‘বিষয়টা অনেক লোক দেখছে। স্কুলের মালিকরে বিষয়টা জানাইলে উনি উল্টা ধমক দিয়া কইলেন, এই এখানে বাচ্চা খেলা খেলবে কেন? ওদের বাড়ি কোথায়? এ রকম করে আমাদের তাড়ায় দিল। পরে পাশের ডিসপিনসারির দোকানে নিয়া চিকিৎসাটা করাইছি আর কি।’
থানায় অভিযোগ করেছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘৯৯৯-এ ফোন দিছিলাম। সেখান থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন ১০৯-এ ফোন দিতে বলছে। তারা ব্যস্ততার কারণে ওখানে একটা অভিযোগ করতে বললে একটা এসএমএস দিছি। এখন পর্যন্ত কেউ ফোন দেয় নাই।'
এ ব্যাপারে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদুল মণ্ডলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টা আমার জানা নেই। আমি একটু বাইরে আছি। তারপরও কাউকে (ভুক্তভোগী) একটু থানায় পাঠান। আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’