বঙ্গোপসাগরের সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে প্রস্তুত থাকছে ৩৪৪টি আশ্রয়কেন্দ্র।
সম্ভাব্য এই ঝড় নিয়ে শুক্রবার বিকেলে এক জরুরি সভায় এ তথ্য জানিয়েছেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, উত্তর আন্দামান সাগর ও পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে, যে ঝড়ের নাম হবে ‘ইয়াস’। ঘূর্ণিঝড়টি উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ হয়ে আগামী ২৬ মে বুধবার বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌঁছতে পারে।
সভায় জানানো হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ সব সরকারি-বেসরকারি সংস্থা প্রস্তুত থাকবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করবেন।
সভায় জেলার বাসিন্দাদের ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার, দিয়াশলাইসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রাখার অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোহাম্মাদ রিজাউল করিম, সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির, মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহ-ই-আলম বাচ্চু, মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন, মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার, জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার নাহমুল কবির ঝিলামসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।
জেলা প্রশাসক ফয়জুল বলেন, ‘উপকূলীয় জেলা হওয়ায় ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে বাগেরহাটের মানুষ একটু বেশি ঝুঁকিতে থাকে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবাণী অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি ২৬ মে নাগাদ ভারতের উড়িষ্যার উপকূল ও বাংলাদেশের সুন্দরবন উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তাই আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।’
তিনি জানান, জেলার উপকূলীয় উপজেলা শরণখোলা, মোংলা, রামপাল, মোরেলগঞ্জসহ জেলায় ৩৪৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পানি ও আলোর ব্যবস্থা রাখা হবে। ঝড় মোকাবিলায় ওয়ার্ড পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।