বরগুনায় নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর গোলাম মোস্তফা নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা এলাকার একটি খাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মৃত গোলাম মোস্তফা ডৌয়াতলা ডিগ্রি কলেজের অফিস সহকারী ছিলেন। এ ঘটনায় গোলাম মোস্তফার ভাগনে মিজান হাওলাদারকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডৌয়াতলা এলাকার চৌকিদার বাড়িসংলগ্ন খালে গোলাম মোস্তফার মরদেহ প্রথমে ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে তারা খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
গত বুধবার রাতে নিখোঁজ হন গোলাম মোস্তফা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে বামনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্ত্রী আলমতাজ।
আলমতাজ বলেন, “বুধবার রাত নয়টার পর আমি তাকে ফোন করে বাসায় আসতে বলি। ‘রাতে বাড়ি ফিরব না, কলেজে থাকব’- এ কথা বলেই কল কেটে দেন। এরপর অনেকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন সকালে কলেজে গিয়ে না পেয়ে আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপর ওই দিন সন্ধ্যায় বামনা থানায় আমার স্বামীর ভাগনে মিজান হাওলাদারের বিরুদ্ধে জিডি করি।”
আলমতাজ জানান, গোলাম মোস্তফার সঙ্গে তার বড় বোন এনি বেগমের স্বামী নাইম হাওলাদারের একটি জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। দুই মাস আগে ওই জমিতে মোস্তফা ঘর তুলতে গেলে নাইম হাওলাদার ও তার ছেলে মিজান হাওলাদার বাধা দেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। তখন ভগ্নিপতি নাইম ও ভাগনে মিজান মোস্তফাকে হাতুড়িপেটা করেন। পরে পারিবারিকভাবে বিষয়টির মীমাংসা হয়। ওই ঘটনার জেরে তার স্বামীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করেন আলমতাজ।
এ বিষয়ে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, গোলাম মোস্তফার মরদেহ খাল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মাথাসহ নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের একাধিক চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাগনে মিজান হাওলাদারকে আটক করা হয়েছে।