চুয়াডাঙ্গায় করোনায় আক্রান্ত এক জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ঘটনা জানাজানি হলে একদিন পর তথ্যসূচি সংশোধন করা হয়। শোকজ করা হয় দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ শাহাজাহান আলীকে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার মুন্সিপুর গ্রামের ওসমান গণীর করোনা শনাক্ত হয় গত ১২ মে। ১৩ মে নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে ১৮ মে তথ্যসূচি প্রকাশ করে স্বাস্থ্য বিভাগ।
উসমান গণীর ছেলে সাব্বির হোসেন জানান, তার বাবা এখনও জেলা সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ৬০৭ নম্বর বেডে ভর্তি আছেন। তার শারীরিক অবস্থাও উন্নতির দিকে।
নিউজবাংলাকে সাব্বির বলেন, ‘বাবার মৃত্যুর খবর শুনে আমি তো অবাক হয়ে গেছি। আমি হাসপাতালে আমার বাবার দেখাশোনা করি। স্বাস্থ্য বিভাগের সঠিক তদারকি ও উদাসীনতার কারণেই এমনটি হয়েছে।
‘আমার বাবা এখন বেশ সুস্থ। দুই-একদিনের ভেতর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেবে। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সঠিক তথ্য যাচাই বাছাই না করেই এটি করেছে।’
এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল জানান, পরিসংখ্যানবিদ শাহাজাহান আলী যাচাই-বাছাই না করে কোনো অনুমতি বা স্বাক্ষর না নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে ওই তথ্য পাঠিয়েছিলেন। বিষয়টি জানার পর অবশ্য রিপোর্টটি সংশোধন করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন এএসএম মারুফ হাসান জানান, ওই ঘটনায় পরিসংখ্যানবিদ শাহাজাহান আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।