বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় এক স্কুলশিক্ষিকাকে মারধরের পর তার মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ভাই-ভাবির বিরুদ্ধে।
একটি প্রাথমিক স্কুলের ওই শিক্ষিকা বলছেন, বাবার সম্পত্তির অংশ দাবি করায় বৃহস্পতিবার সকালে তার গলায় বটি ধরে মাথার চুল কেটে দেয়া হয়। এরপর তাকে একটি ঘরে বন্দি করে রাখা হয়। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
তার ভাই গোলাম রব্বানী উপজেলার একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। তাকে নির্যাতনের অভিযোগ এনে ভাই-ভাবির বিরুদ্ধে সোনাতলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
ভুক্তভোগী নারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কয়েক বছর আগে পারিবারিক কারণে স্বামীর সঙ্গে আমার ছাড়াছাড়ি হয়। এর পর থেকে ভাড়া বাড়িতে থেকে শিক্ষকতা করি। বিষয়টি সামাজিকভাবে ভালো না দেখানোয় বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করি। কিন্তু ভাই গোলাম রব্বানী ও ভাবি পপি বেগম মাঝেমধ্যেই বিনা কারণে আমার সঙ্গে বাজে আচরণ করেন।
‘আমি ভাইয়ের কাছে বাবার সম্পত্তি থেকে একটু জায়গা আবদার করি, যেখানে আমার মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে। কিন্তু ভাই তা না দিয়ে বাবার রেখে যাওয়া ছয় লাখ টাকা ও সম্পত্তি একাই ভোগ-দখল করতে থাকেন। আমাকে কোনোপ্রকার অর্থ ও সম্পত্তির অংশ দেবেন না বলে প্রতিনিয়তই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।’
তিনি বলেন, ‘সবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে বাগবিতণ্ডার জেরে ভাই-ভাবি আমাকে মারধর করা শুরু করেন। এক পর্যায়ে আমার গলায় বটি ধরে কেচি দিয়ে মাথার চুল কেটে দেন। পরে এক ঘরে বন্দি করে রাখেন। আমি ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।’
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন, ‘এর আগেও কয়েকবার তাদের পারিবারিক কলহ সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। চুল কাটার বিষয়টি দুঃখজনক। আবারও বসে মীমাংসার চেষ্টা করব।’
সোনাতলা থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, ‘৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। তিনি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’