আজমির শরিফে মাদ্রাসা তৈরি করে দেয়ার নামে দেড় লাখ টাকা লোপাটের সাত মাস পর কৌশলে আরও টাকা নিতে এসে ধরা পড়েছেন দুই ‘জিনের বাদশা’। তাদের গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন এলাকাবাসী।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে সাতক্ষীরা মুখ্য বিচারিক হাকিমের ভার্চুয়াল আদালত শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ঝাপাঘাট এলাকা থেকে বুধবার রাত ১টার দিকে দুই ‘জিনের বাদশা’কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সাত মাস আগে কলারোয়ার ঝাপাঘাট গ্রামের শের আলীর সঙ্গে পরিচয় হয় খাগড়াছড়ি জেলার মাটিডাঙ্গা থানার স্বর্ণকারটিল গ্রামের আব্দুর রহমান হাওলাদার ও আব্দুল হক হাওলাদারের। তারা নিজেদের ‘জিনের বাদশা’ বলে পরিচয় দেন।
পরিচয়ের সূত্র ধরে শের আলীর নামে আজমির শরিফে মাদ্রাসা তৈরি করিয়ে দেয়ার কথা বলে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেন দুই ‘জিনের বাদশা’। টাকা নিয়েই তারা লাপাত্তা হয়ে যান। সাত মাস পর বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে ওই দুজন আবার শের আলীর বাড়িতে হাজির হন। এবার তারা তিনটি তাবিজ ও দুই কৌটা সিঁদুর নিয়ে আসেন।
তারা বাড়ির লোকজনকে বলেন, ‘এই রাতে এক লাখ টাকা গাছের ডালে বেঁধে রাখলে সকালে দুই লাখ টাকা হয়ে যাবে। আর এই তাবিজ ও সিঁদুর বাড়িতে রাখলে টাকায় বাড়ি ভরে যাবে।’
তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে আগের দেড় লাখ টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে দুই ‘জিনের বাদশা’কে ধরে গণপিটুনি দেন। পরে তাদের থানায় খবর দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবীর জানান, উপপরিদর্শক (এসআই) রঞ্জন কুমার মালো আরও পুলিশ নিয়ে গিয়ে শের আলীর আমবাগান থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছেন।
শের আলী এ ঘটনায় কলারোয়া থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ভার্চুয়াল আদালত আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে বলে জানান ওসি খায়রুল।