সুপার সাইক্লোন আম্পানের বর্ষপূর্তিতে ‘আমরা ভাসতে চাই না, বাঁচতে চাই’ স্লোগান নিয়ে বেড়িবাঁধ সংস্কার ও উপকূল সুরক্ষার দাবিতে কপোতাক্ষ নদে জলবায়ু অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে কয়েকটি সংগঠন।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে চৌদ্দরশি সেতুর ওপর-নিচে কপোতাক্ষ নদে নৌকায় ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবরোধ করে উপকূলের কয়েকটি সংগঠন।
ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, বাংলাদেশ মডেল ইয়ুথ পার্লামেন্ট ও কোস্টাল ইয়ুথ অ্যাকশন হাব জলবায়ু অবরোধ কর্মসূচির আয়োজন করে। সঞ্চালনা করেন ম্যানগ্রোভ স্টুডেন্ট সোসাইটির সাবেক সভাপতি ইয়াছির আরাফাত।সমাবেশে ম্যানগ্রোভ স্টুডেন্ট সোসাইটির সভাপতি আরিফুল ইসলাম বলেন, প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আম্পানের এক বছর পার হলেও ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি সাতক্ষীরার উপকূলের কয়েক লাখ মানুষ। লবণাক্ততার তীব্রতায় এখানে কৃষিকাজ হয় না। এতে অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়েছে অধিকাংশ মানুষ। বেড়িবাঁধ ভাঙন আতঙ্কে দিনরাত কাটে তাদের। যোগাযোগব্যবস্থাও রয়েছে বিচ্ছিন্ন। চিকিৎসা, স্যানিটেশন, সুপেয় পানিসহ নানা সংকটে উপকূলের লক্ষাধিক মানুষ বিপর্যস্ত।
বক্তারা জলবায়ু সুবিচার ও উপকূলবাসীর স্বার্থ সুরক্ষায় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ দ্রুত সংস্কার ও সুপেয় পানির সরবরাহের দাবি জানান।সমাবেশে বক্তব্য দেন স্টুডেন্ট কেয়ার সোসাইটির সিনিয়র সহসভাপতি ইসরাফিল হুসাইন, ইনফরমেশন কোয়েস্ট সেন্টারের সভাপতি তাসনিমুল এহসান ফাহাদ, সানমুন স্টান সোশ্যাল ক্লাবের মুতাছিম বিল্লাহ, ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের সাতক্ষীরা জেলা সমন্বয়ক এসএম শাহিন আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুহতারাম বিল্লাহসহ অনেকে।
২০২০ সালের ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকা। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে উপকূলের ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। ঘরবাড়ি ধসে পড়ে দুই হাজারেরও বেশি। পানিতে নিমজ্জিত হয় হাজার হাজার বিঘা মাছের ঘের ও ফসলি জমি।